Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

কোরবানীর অপেক্ষায় বালিয়াকান্দির কালো পাহাড়॥ওজন ১৫শত কেজি

॥শিহাবুর রহমান॥ গায়ের রঙ কালো, দেখতে পাহাড়ের মতো। তাই গৃহকর্তা শখ করে তার নাম রেখেছেন কালো পাহাড়। এটি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইলিশকোল গ্রামের কাছেদ আলী খানের খামারের ১৫শত কেজি ওজনের একটি ষাঁড়ের নাম। কোন প্রকার কৃত্রিম খাদ্য ছাড়াই প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ায়ে ষাঁড়টিকে লালন পালন করে বড় করেছেন কৃষক কাছেদ আলী খান। আসন্ন কোরবানীর ঈদে ন্যায্য মূল্য পেলে ষাঁড়টিকে বিক্রি করতে চান তিনি।

কাছেদ আলী জানান, ২০১৫ সালে বাড়ীর পালের গাভীর গর্ভে জন্ম নেয় কালো পাহাড়। গাভীটির দুধ অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় সেটি কিনতে চাইতেন না কেউ। ফলে তিনি গাভীটির পুরো দুধই পান করতে দিতেন বাছুরটিকে। এভাবে প্রতিদিন ২৫লিটার দুধ পান করতো বাছুরটি। ১৪ মাস ধরে সাড়ে ৩ থেকে ৪টন দুধ পান করে অল্প দিনেই কালো পাহাড়ে রুপ নেয় বাছুরটি।

তিনি আরো জানান, জন্মের পর থেকে কালো পাহাড় যে দুধ ও খাবার খেয়েছে তাতে এমন তিনটি ষাঁড় বিক্রি করলেও ওই টাকা উঠবে না। ষাঁড়টি প্রতিদিন ১হাজার টাকার প্রাকৃতিক খাবার খায় বলেও জানান তিনি। গত কোরবানীর ঈদে ১১লক্ষ টাকা দাম উঠেছিল ষাঁড়টির। এবার ন্যায্য মূল্য পেলে ষাঁড়টি বিক্রি করতে চান তিনি। যদি কোন সৌখিন ব্যক্তি ষাঁড়টিকে ক্রয় করেন তাহলে প্রয়োজনে কোরবানীর ঈদ পর্যন্ত নিজ খরচে লালন পালন করে তার বাড়ীতে পৌছে দিবেন বলে জানান কাছেদ আলী খান।

স্থানীয় সাংবাদিক কামরুল ইসলাম জানান, শুধু বালিয়াকান্দিতেই নয় রাজবাড়ী জেলাতেও এতো বড় ষাঁড় দ্বিতীয়টি নেই বলেও দাবী করেন তিনি।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ফজলুল হক সরদার জানান, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খেয়েই ষাঁড়টি এতো বড় হয়েছে। এটি রাজবাড়ী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলেও দাবী করেন তিনি।