॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আজ ১০ই জুলাই নতুন করে আরও ২১জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮৭ জনে।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, আজ শুক্রবার রাজবাড়ী জেলার আরও ৬৩জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে ২১জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১১ জন রাজবাড়ী সদর, ৫জন পাংশা, ৪জন গোয়ালন্দ ও ১জন কালুখালী উপজেলার। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৮৭ জনে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এ পর্যন্ত রাজবাড়ী জেলা থেকে ৫ হাজার ৩০৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৫ হাজার ১৬৫ জনের রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে এবং ১৩৯ জনের রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩১০ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন এবং ৪জন মারা গেছেন। এছাড়া ৩৪জন হাসপাতালে ভর্তি এবং ৩৪৩ জন হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন
আজ ১০ই জুলাই যে ২১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তারা হলেন ঃ রাজবাড়ী পৌরসভার কাজীকান্দা গ্রামের মোখলেছুর রহমান(৫৭), বেড়াডাঙ্গা-১ গ্রামের জালাল উদ্দিন(৬৫), সরকারী কলেজের দিপক কুমার কর্মকার(৫৫), জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের ইমরাইল হোসেন(৫৫), সাইদুল ইসলাম(৫৫), মোঃ মহিউদ্দিন(৪৯), সোনালী ব্যাংকের রাজবাড়ী শাখার তানভীর হোসেন(২৯), সদর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের জগৎপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম(৪৯), বরাট ইউনিয়নের ভবদিয়া গ্রামের আসলাম আলী(৪১), শাহানা সুলতানা(৬০), পাংশা পৌরসভার নারায়ণপুর গ্রামের সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস(৫৫), বাবলু বিশ্বাস(৩৫), কলিমহর ইউনিয়নের পরাণপুর গ্রামের সুমন হোসেন(২৭), যশাই ইউনিয়নের পারভেল্লাবাড়ীয়া গ্রামের আবীর(৫), পাংশা হাইওয়ে থানার রাজু মিয়া(৩০), অনু সিং ত্রিপুরা(২০), পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জান্নাতুল ফেরদৌস(২২), বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের মোঃ হাসান(৪০), গোয়ালন্দ পৌরসভার হাউলি কেউটিল গ্রামের ছব্দুল(৫৫), গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুল মালেক(৬০) এবং কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হারুন অর রশিদ(৫৫)।
এছাড়া ইতিপূর্বে শনাক্ত হওয়া ৩জনের ফার্স্ট ফলোআপ রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। তারা হলেন- রাজবাড়ী ট্রাফিক বিভাগের টিএসআই মোঃ রুহুল আমিন, পাংশা থানার এস.আই মোঃ এনসের আলী এবং কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের তফাদিয়া গ্রামের খাদিজা বেগম।