Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির জরুরী সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত রাজবাড়ী জেলা কমিটির এক জরুরী সভা গতকাল ৭ই জুলাই বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নূরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ মঞ্জুরুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সালাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) সারোয়ার আহমেদ সালেহীন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট ইমদাদুল হক বিশ্বাস ও রাজবাড়ী পৌর মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরীসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় রাজবাড়ী জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। রাজবাড়ীতে যাতে করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বিস্তার করতে না পারে সেজন্য প্রত্যেক উপজেলায় এবং পৌরসভায় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ি আবশ্যিকভাবে ১৪দিনের জন্য লকডাউন করে তাদের চিকিৎসা সেবাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

গঠিত কমিটির সদস্যগণ আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করার পূর্বে চিহ্নিত করবে। এছাড়া নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাইকিং এবং মাঠ পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান, নমূনা সংগ্রহ, কনটাক্ট ট্রেসিং করতে গিয়ে যাতে কেউ বিরুপ পরিস্থিতির সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে সকলকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

সভায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে জেনারেটর স্থাপন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করায় সভায় সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, রাজবাড়ী জেলায় এ পর্যন্ত ৬২৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪৭ জন এবং নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ৩২৮ জন।এ পর্যন্ত আরোগ্য লাভ করেছেন ২১৫ জন ও মৃত্যুবরণ করেছেন ৩জন। করোনার উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৬৪ জনকে এবং বর্তমানে আছেন ৩ জন। এ পর্যন্ত বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা ২৭১৩ জন। তন্মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৬০৬ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১১৭জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ৭জনই ছাড়পত্র পেয়েছেন।

রাজবাড়ীতে ৫টি সরকারী চিকিৎসা কেন্দ্রে ৩০০ বেড এবং ৩০ আইসোলেশন বেড রয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারী ১৭টি চিকিৎসা কেন্দ্রে ১৭০ বেড আছে। সরকারীভাবে ৬৬ জন ডাক্তার ও ১৫৪ জন নার্স এবং বেসরকারীভাবে ১০ জন ডাক্তার ও ২৫ জন নার্স করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত আছেন। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর জরুরী স্থানান্তরের জন্য ১টি এ্যাম্বুলেন্স, স্যাম্পল কালেকশনের জন্য ২টি যানবাহন এবং রোগী পরিবহনের জন্য ১টি মাইক্রোবাস প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে এ পর্যন্ত ৫হাজার ৯৬টি স্যাম্পলের(ফলোআপসহ) মধ্যে পজেটিভ রেজাল্ট এসেছে ৬৩৮টি, নেগেটিভ এসেছে ৪হাজার ৩শত ১১টি এবং ১৫৬টি রেজাল্ট প্রাপ্তির অপেক্ষায় আছে।