॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট দিয়ে কর্মস্থলমুখী গার্মেন্টস শ্রমিকদের ভীড় অব্যাহত রয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর গার্মেন্টস শ্রমিকরা চাকুরী বাঁচাতে করোনার ঝুঁকি উপেক্ষা করে ছুটে চলেছে।
গতকাল ১লা মে সকাল ৯টার দিকে দৌলতদিয়ার ৫নং ফেরী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, মাধবীলতা নামের ছোট একটি ফেরী ৩ শতাধিক যাত্রীসহ ২টি ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। ফেরীতে গাদাগাদি করে যাত্রীরা অবস্থান করছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কোন সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না।
এ সময় কয়েকজন গার্মেন্টস শ্রমিক বলেন, ফ্যাক্টরী থেকে মোবাইলে ফোন পেয়ে চাকুরী বাঁচানোর জন্য তাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে যোগ দিতে যেতে হচ্ছে। আবার বেশীরভাগ গার্মেন্টসেই ঢাকার বাইরের শ্রমিকরা কাজ করে। তাদেরকে ছাড়া ফ্যাক্টরী চালু করাও সম্ভব নয়। তাই তাদেরকে যেতেই হচ্ছে। উপরন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে তাদের কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত আসতে হয়েছে।
বিআইডব্লিটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, জরুরী কাজে নিয়োজিত গাড়ীগুলোকে পারাপারের লক্ষ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সীমিত আকারে ৫টি ফেরী চলাচল করছে। এ ফেরীগুলোতে বিপুল সংখ্যক মানুষও পারাপার হচ্ছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, গার্মেন্টস কারখানা চালুর পর দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা-গাজীপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের চাকুরী বাঁচানোর মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে ফেরীতে উঠতে দেয়া হচ্ছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।