॥মাহ্ফুজুর রহমান॥ করোনা ভাইরাসে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চালু হওয়ায় গতকাল ২৮শে এপ্রিল সকাল থেকেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরীতে ঢাকায় কর্মমুখী যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
লকডাউন ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষ করে উপেক্ষা করে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত শ্রমিক-কর্মচারীদের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে এ সময় দৌলতদিয়া ঘাটে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ৫টি ফেরীতে এ্যাম্বুলেন্স ও কাচামালবাহী ট্রাক, কাভার ভ্যান অগ্রাধিকার দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।
দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তের ২টি ফেরী ঘাট দিয়ে ফেরীতে যানবাহন পারাপার করছে। দূর-দূরান্ত থেকে কর্মমূখী যাত্রীরা অটো রিক্সা, এ্যাম্বুলেন্সে, প্রাইভেটকারে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পৌছাচ্ছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে রো-রো ফেরী গোলাম মওলা পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। দেখা গেছে, ফেরীতে ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ ৫/৬টি যানবাহন থাকলে ফেরীর পল্টুনে খালি জায়গা রেখে ২শতাধিক যাত্রী পারাপার হতে দেখা যায়। ফেরীগুলোতে কর্মমূখী যাত্রীদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব না রেখে গাদাগাদি করে অবস্থান নিয়েই পারাপার হচ্ছেন। ফেরী পার হয়ে পাটুরিয়া ঘাট প্রান্তে যাত্রীদের ঢল চোখে পড়ার মতো।
ফেরীতে অবস্থানরত একাধিক যাত্রী বলেন, চাকুরী বাঁচাতেই এবাবে করোনার ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরে যেতে হচ্ছে। রোজা চলে এসেছে। সামনে ঈদ। কাজ না করলে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকবো কী করে। আর এখন না গেছে চাকুরী থাকবে কিনা বলতে পারি না।
গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী মোস্তফা হোসেন, আলমগীর শেখ বলেন, গোপালগঞ্জ থেকে মোটর সাইকেল যোগে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌছে এখন ফেরীতে পার হচ্ছে। পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে কোন এ্যাম্বুলেন্স বা প্রাইভেটকারে যেতে হবে কর্মস্থল পর্যন্ত।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারী নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গত ১মাস যাবৎ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ৫টি ফেরী যানবাহন পারাপারে চলাচল করছে। বর্তমানে নৌরুট দিয়ে ২৪ ঘন্টায় মাইক্রোবাস, এ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, কাঁচা মালবাহী ট্রাকসহ প্রায় ৮/৯শত যানবাহন নদী পাড় হচ্ছে।