Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউপি’র দিলালপুরে সালিশে মারামারি॥৮জন আহত॥গ্রেফতার-৪

॥তনু সিকদার সবুজ॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের দিলালপুর গ্রামে গতকাল শুক্রবার সকালে জমিজমাকে কেন্দ্র করে সালিশে দু’পক্ষের মারামারিতে ৮জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে বালিয়াকান্দি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আহতরা হলেন ঃ দিলালপুর গ্রামের মোজাহার শেখের ছেলে হিরণ শেখ(৪৫), তার স্ত্রী পান্না বেগম(৩৫), ছোট ভাই হারুন শেখ(৩৮) মৃত মোজা শেখের স্ত্রী নুর জাহান(৭০), মজিদ মোল্লার ছেলে ইসমাইল মোল্লা(৩০) তমছের মোল্লার ছেলে নিরুজ মোল্লা(৩৫), আব্দুর মজিদ শেখের ছেলে রফিক শেখ(৩০) ও রজব শেখের ছেলে রাসেল শেখ(২৫)।

এদের মধ্যে আহত নিরুজ ও পান্নার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার্ড করে।

গতকাল শুক্রবার সকালে দিলালপুর গ্রামে মজিদের বাগানে হিরন ও মজিদ উভয় পক্ষের উপস্থিতে নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসান আলীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশে বসে। সালিশ চলাকালীন সময় এই মারামারির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশ বহরপুরের নিরু, শাজাহান এবং দিলালপুর গ্রামের ফারুক ও ফরহাদকে আটক করে।

আহত হারুন শেখ জানান, গত বৃহস্পতিবার সকালে আমার ভাই হিরণ শেখের চাষকরা জমির মধ্যে আধা শতাংশ জমিতে প্রতিবেশী মজিদ শেখের ছেলে ফারুক, ফরহাদ ও রফিক মিলে জোরপূর্বক কোদাল দিয়ে মাটি কোবায়ে ডাটার বীজ ছিটিয়ে দেওয়ার সময় আমার ভাবী পান্না বেগম ও ভাতিজা  হৃদয় ও রানা বাঁধা দেয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার দুই ভাতিজাকে মারধর করে। মারধরের ঘটনায় ভাবী পান্না বেগম বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় বিকালে একটি অভিযোগ দায়ের করে।

নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসান আলী বলেন, দিলালপুর গ্রামে মজিদ শেখ ও হিরণ শেখের মধ্যে জমি নিয়ে একটি ঝামেলা ছিল। গত বৃহস্পতিবার হিরন শেখের স্ত্রী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। ঐ গ্রামের কিছু লোকজন বিষয়টি মিমাংসার জন্য অনুরোধ করলে আমি উভয় পক্ষের দুইজন করে সালিশে উপস্থিত থাকবে এই শর্তে আমি রাজি হই। মিমাংসা লক্ষে সালিশ চলাকালীন সময়ে মজিদ শেখের পক্ষে নিরু ও শাজাহান উস্কানিমূলক কথাবার্তা বললে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে সেখান থেকে চলে আসি।

বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা বলেন, চেয়ারম্যান সালিশ ডেকেছেন সেটি আমাদেরকে আগে জানাননি।

সালিশের সময় মারামারি শুরু হলে তখন আমাদেরকে বিষয়টি তিনি ফোনে জানান। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৪জনকে আটক করা হয়েছে।