Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির শালকী গ্রামে স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে যুবতীর অবস্থান

॥তনু সিকদার সবুজ॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের শালকি গ্রামে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবীতে প্রেমিক জিহাদ ফকিরের বাড়ীতে উঠেছে ইফফাত(১৯) নামের এক যুবতী।

গতকাল ২৩শে এপ্রিল দুপুরে শালকী গ্রামে প্রেমিক জিহাদ ফকিরের পিতা বাদশা ফকিরের বাড়ীতে গিয়ে অবস্থান করে। যুবতী ইফফাত একই ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুর সালাম মোল্লার মেয়ে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ওই বাড়ীতে অবস্থান করা যুবতী ইফফাত বলেন, বাদশা ফকিরের ছেলে জিহাদ ফকির(২৫) এর সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে আমরা একে অপরকে ভালোবেসে দুই বছর আগে বালিয়াকান্দি কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করি।

আমার শ^শুড় বিদেশ থাকায় আমার স্বামী আমাকে বাড়ীতে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। সে বলে আমার বাবা দেশে আসলে তারপর তোমাকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে যাব। এরমধ্যে আমার স্বামী আমাদের বাড়ীতেই থাকে। সে আমার সাথে থাকা অবস্থায় নারুয়াতে আরেকটি মেয়ের সাথে প্রেম করে। সেটি আমি বুজতে পেরে তাকে প্রতিবাদ করলে সে আমাকে মারধর করে।

আমার শ^শুড় দেশে আসলে আমি স্বামী জিহাদকে তাদের বাড়ীতে ওঠায়ে নিতে বললে সে আমাকে বিভিন্ন অজুহাত দেখায়।

তার মতলব বুঝতে আমি আজ নিজেই শ^শুর বাড়ীতে চলে আসি। এখানে আসার পর জিহাদ আমাকে ২বার প্রচন্ড মারধর করেছে। তাপরও আমি এখান থেকে যায়নি। আমাকে মেরে ফেললেও আমি এখান থেকে যাবনা।

জিহাদের পিতা বাদশা ফকির বলেন, ৩/৪ দিন পূর্বে আমার কাছে মেয়ে পক্ষের লোক এসেছিল তাদের মেয়েকে আমার বাড়ীতে কবে তুলে নেব জানতে চাইলে আমি তাদেরকে করোনার সমস্যা চলে গেলে আমরা উভয় পক্ষ বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান করা হবে বলে জানিয়ে দেই।

মেয়ের পিতা সালাম মোল্লা বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ে করে গত ২বছর ধরে জিহাদ আমার বাড়ীতেই থাকতো। এটা ছেলের বাড়ীর সবাই জানে। তার শ^শুড় বাড়ীর লোকজন তাদের বাড়ীতে তুলে নিতে বিভিন্ন তালবাহানা করছে। আজ আমার মেয়ে ইফফাত আমাদেরকে না জানিয়েই শ^শুর বাড়ীতে গিয়ে উঠে।