Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা সেই ৫জন করোনা রোগীই সুস্থ্য

॥হেলাল মাহমুদ॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলায় গত ১১ই এপ্রিল ৫জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল তারা সবাই সুস্থ হয়ে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিট থেকে বাড়ী ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে তাদেরকে আরো ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত রাজবাড়ীতে ৬জন করোনা রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরেছেন।

করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ্য হওয়া ৫জন হলেন ঃ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে শিহাব মিয়া(২০), রাজবাড়ী পৌরসভার বিনোদপুর নতুন মসজিদ এলাকার সোবহান খানের ছেলে জহির উদ্দিন(৬৫), বিনোদপুর সুইপার কলোনীর বাসিন্দা মঞ্জু রানী(৩৫), চন্দনী ইউনিয়নের আফড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে রাতুল(২৬), ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার বকসীপুর গ্রামের অরুন চন্দ্র(৭০)।

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম গতকাল ১৮ই এপ্রিল বিকালে এই প্রতিবেদককে বলেন, গত ১১ই এপ্রিল থেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ওই ৫জনকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি রেখে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছিল। তাদের নমুনা ২বার করে পরীক্ষা করা হয়েছে, প্রতিবারই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এ কারণে আজ শনিবার তাদেরকে আইসোলেশন ইউনিট থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম তার ফেসবুক স্টাটাসে বলেন “কোন জটিলতা ছাড়াই রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৫জন কোভিড-১৯ রোগী সুস্থ হয়ে আজ বাড়ি ফিরে গেলেন। যে বরেণ্য চিকিৎসক এই রোগীগুলোর সনাক্তকরণ ও দ্বিধাহীনভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি ডাঃ শামীম আহসান, জুনিয়র কনসালট্যান্ট, মেডিসিন ও কার্ডিওলোজি রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল। স্যালুট এই করোনা যোদ্ধাকে।” হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ দীপক কুমার বিশ্বাস, ব্রাদার মামুন, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ যারা সহযোগিতা করেছেন সবাইকে শুধু ধন্যবাদ দিলে ছোট করা হবে। ঝগঞ-খঅই আক্কাস আলী ও নন্দ বাবু ঝুঁকিপূর্ণ স্যাম্পল কালেকশন করেছেন। তাদেরকে অভিবাদন। পরিশেষে মহান আল্লাহ’র কাছে শোকরগোজার করছি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে জুলফিকার আলী বাচ্চু(৪৯) নামে একজন করোনা পজেটিভ রোগী গত ১৫ই এপ্রিল থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার বাড়ী পাংশা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কুড়াপাড়া গ্রামে।

গত ১১ই এপ্রিল ওই ৫জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির জরুরী সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরো জেলাকে ১০দিনের জন্য লকডাউন(অবরুদ্ধ) ঘোষণা করা হয়েছিল, যা এখনো বলবৎ রয়েছে।