Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বালিয়াকান্দি উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে এমপি জিল্লুল হাকিমের দেওয়া ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম

॥তনু সিকদার সবুজ॥ “ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার” এই প্রতিপাদ্যকে নিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে যাতে কেউ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় তারই ধারাবাহিকতায় বালিয়াকান্দি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাবে এমপি জিল্লুল হাকিমের দেয়া ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিমের উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাফিন জব্বার।

এর আগে গত ৪ঠা এপ্রিল রাজবাড়ী-২ আসনের (পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী) এলাকার জন্য একটি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল স্বাস্থ্যসেবা চালু হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমান মেডিকেল স্বাস্থ্যসেবা অপ্রতুল হবার কারণে শুধুমাত্র বালিয়াকান্দি উপজেলার জন্য আদালা একটি ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা চালু করা হয়েছে বলে নিশ্চত করেছেন রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম।

এ সময় ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম লিডার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রাসেল খান রিজুসহ ভ্রাম্যমান টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাফিন জব্বার বলেন, রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম ও তার ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুলের বিশেষ উদ্যোগে রোগীদের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এই ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিমটি চালু করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ০১৭৩০৩২৪৫৪৮ ও ০১৭১১২৭৫৯৯৪ নাম্বারে গ্রামের যে কেউ অসুস্থ হলে আমাদের এই ভ্রাম্যমান টিমের হট লাইনে ফোন দিলে দ্রুত রোগীর বাড়ীতে পৌঁছে যাবে ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম।

রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, সব সময় মানুষের সেবা করার সুযোগ আসে না। গত বুধবার আমি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় ২৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছি। আমার পুত্র আশিক মাহমুদ মিতুলসহ আমার পরিবার দেশের এই সময়ে আমার পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালীর প্রিয় মানুষগুলো যেন কোন ভাবেই কষ্ট না পায় সেই ধারণা থেকে আরো একটি মেডিকেল টিম বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন দুই একদিনের মধ্যেই পাংশা-বালিয়াকান্দি-কালুখালী এলাকায় আমার পরিবারের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারে শিশু সন্তান রয়েছে তাদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ শুরু করা হবে।