Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

পাংশায় বসত বাড়ী নদীতে বিলীন হওয়ার পর মানবেতর জীবনযাপন করছে বাবলু ড্রাইভার !

॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা পৌরসভার পার-নারায়নপুর গ্রামে ভাড়াবাসায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন বাবলু ড্রাইভার।
হাবাসপুর ইউপিতে পৈত্রিক বাড়ী নদী ভাঙনে বিলীন হওয়ার পর বিগত প্রায় ৩০বছর পাংশা শহরের মাগুড়াডাঙ্গী ও পার-নারায়নপুর গ্রামে ভাড়াবাসায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
জানা যায়, বাবলু ড্রাইভারের পিতা হাবাসপুর ইউপির চর-ঝিকড়ী গ্রামের মরহুম নাসির উদ্দিন ছিলেন প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক। নিজের ১টি মাইক্রো গাড়ী ছিল তার। দুর্ঘটনায় মাইক্রোটি ভেঙ্গে চুরে যায়। নিজের জমানো অর্থ ও সাহায্য সহযোগিতায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে শারীরিক ভাবে কিছুটা সুস্থ্য হলেও তার ডান চোখ চিরতরে নষ্ট হয়। পরবর্তীতে এক নিকটাত্মীয় তাকে একটি অটোবাইক কিনে দেন। অটোবাইক চালিয়ে অর্জিত অর্থে সংসার চালানোসহ দুই কন্যা ও ১পুত্র সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগায়। গতবছরে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে অটোবাইকটি ভেঙ্গে চুরে যায় এবং দুর্ঘটনায় নিজে পঙ্গু হন। এ অবস্থায় কয়েক বছর ধরে ভাড়াবাসায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন বাবলু ড্রাইভার।
বাবলু ড্রাইভার জানান, বাহাদুরপুর ইউপিতে তার মামা বাড়ী। তার মামাদের মধ্যে একজন সাবেক অতিরিক্ত অর্থসচিব ছিলেন। আরেকজন সেনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সাবেক পোস্টমাস্টার জেনারেলও ছিলেন একজন। আত্মীয়-স্বজন অনেকেই দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। ড্রাইভিং জীবনে ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে এখন পঙ্গু জীবনে বড়ই অসহায় হয়ে পড়েছেন। মাথাগোঁজার ঠিকানা বিহীন বাবলু ড্রাইভার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায়।
এ ব্যাপারে পাংশা পৌরসভার মেয়র আব্দুল আল মাসুদ বিশ্বাস বলেন, বাবলু ড্রাইভারকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি ও জানি। সাধ্যমত তাকে সহযোগিতা করি। মাথাগোঁজার ঠিকানা করে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সহযোগিতা দরকার বলে উল্লেখ করেন তিনি।