Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই গার্মেন্টস কর্মীরা ফিরছে ঢাকায়॥দৌলতদিয়া ঘাটে ভিড়

॥এম.এইচ আক্কাছ॥ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরীগুলোতে গার্মেন্টস কর্মীসহ রাজধানীমুখী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প উপায়ে অনেক গার্মেন্টস কর্মী দৌলতদিয়া ঘাটে আসছে। করোনা ভাইরাসের কারণে বেশ কয়েকদিন ফাঁকা থাকার পর আবার দৌলতদিয়া ঘাট মুখরিত হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, সরকার হোম কোয়ারেন্টাইনের সময় বাড়িয়ে ১১ই মার্চ পর্যন্ত করেছে। কিন্তু গার্মেন্টস কারখানাগুলো আজ ৫ই এপ্রিল থেকে খুলবে। এ জন্য দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গার্মেন্টস কর্মীরা তাদের কর্মস্থলে যোগ দিতে ছুটে চলেছে।
গতকাল ৪ঠা এপ্রিল বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ফেরীগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। ফেরীগুলোতে ছোট-বড় কিছু গাড়ী পারাপার হলেও কানায় কানায় ভর্তি থাকছে সাধারণ যাত্রীতে।
যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের অধিকাংশই গার্মেন্টস শ্রমিক। সময়মতো কাজে যোগদান করতে না পারলে তাদের চাকুরী থাকবে না বলে তারা করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই কাজে যোগদান করতে যাচ্ছে।
এদিকে যাত্রীরা ফেরীতে উঠার আগেই তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে দেখা যায়। ফেরী ঘাটগুলোতে বিআইডব্লিউটিসি’র টিকেট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন যাত্রীদের কাছ থেকে ২৫ টাকার স্থলে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। কেউ বাড়তি ভাড়া দিতে না চাইলে তার সাথে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, হঠাৎ করেই যাত্রী ও গাড়ীর চাপ বেড়ে গেছে। তবে ফেরীতে পার হওয়া সাধারণ যাত্রীদের টিকেট দেয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। এ জন্য ইজারাদার রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে ১বছরের জন্য ঘাট ইজারা দিয়েছে। তাদের লোকজনই ভাড়া আদায় করছে।