Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

দৌলতদিয়া ঘাট ফাঁকা॥গাড়ীর অপেক্ষায় ফেরী

॥মাহ্ফুজুর রহমান॥ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে গাড়ীর অপেক্ষায় বসে আছে ফেরী। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় চোখে পড়েনি তেমন পন্যবাহী যানবাহন।
গতকাল রবিবার দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাটের পাঁচটি ফেরী ঘাটের মধ্যে ৩টি ঘাটেই অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় ছোট বড় ৫টি ফেরী।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২টি রো-রো ফেরী ও ৩টি ছোট (ইউটিলিটি ও কেটাইপ) ফেরী কাঁচামাল বাহী ট্রাক ও এ্যাম্বুলেন্স পারাপার করছে।
জানা গেছে, করোনো আতঙ্কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বর্তমানের দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন শতাধিক ট্রাক পার হচ্ছে। যা স্বাভাবিক সময়ে সহস্রাধিক মালবাহী ট্রাক, কাভার ভ্যান নদী পারাপার হয়ে থাকে।
জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় ১৫টি ফেরী যানবাহন পারপারে সার্বক্ষণিক চলাচল করে। এর মধ্যে ছোট বড় ৫টি ফেরী চলাচল করছে যানবাহন পারপারে এবং অপর ১০টি ফেরী সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে গাড়ীর অপেক্ষায় রয়েছে ফেরীগুলো। যে সকল যানবাহনগুলো ঘাট এলাকায় পৌছানো মাত্রই ফেরীর দেখা পাচ্ছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, দৌলতদিয়ার জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কটি দুপুর পর্যন্ত প্রায় ২কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থ্রি-হুইলার(অটোরিক্সা) ঢাকা ফেরত যাত্রী আনার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। ৫নম্বর ফেরী ঘাটে ৩টি ফেরী অলস বসে থাকতে দেখা যায়। করোনো প্রতিরোধে সকল গণ পরিবহন বন্ধ ঘোষণা থাকলেও জরুরী ঔষুধ, কাচামাল, ও রোগী বাহী এ্যাম্বুলেন্স অগ্রাধিকার দিয়ে পাড় হচ্ছে। প্রায় দেড় ঘন্টা সময় নিয়ে একটি রো রো ফেরীতে কাচামাল বাহী ট্রাক ও কয়েকটি এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়। এ সময় বিভিন্ন এ্যাম্বুলেন্স দেখা যায়-রোগীর বদলে ঢাকাগামী যাত্রীরা অবস্থান করছেন।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার মোঃ আবু আব্দুল্লাহ জানান, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী গণপরিবহন(বাস) চলাচল বন্ধ রয়েছে। যানবাহনের চাপ কম থাকায় সীমিত আকারে ফেরী চালু রাখা হয়েছে।