॥মাহফুজুর রহমান॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীতে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু ঢাকা থেকে আগত যাত্রীরা করোনার ঝুঁকির কথা চিন্তা না করেই ট্রাকে ও পিকআপ ভ্যানে গাদাগাদি করে জীবনের শঙ্কা নিয়ে বাড়ি ফিরছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের রাজবাড়ী সদর উপজেলার আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার সন্নিকটে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় দেখা যায় এমন চিত্র। করোনা ঝুঁকিতেও মহাসড়কে চলাচলরত প্রতিটি ট্রাকেই প্রায় ৩০/৪০ জন যাত্রী গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে গেছে।
জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাট। ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মজীবী মানুষ ফেরী পাড় হয়ে গন্তব্যে পৌছাতে পারছেন না। এ অঞ্চলে চলাচলরত ট্রাকগুলো দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফরিদপুর, মাগুরা, যশোর, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় যাত্রী বহন করছেন।
এ ব্যাপারে একাধিক ট্রাক চালক জানান, সারা দেশে লকডাউন চললেও ঢাকা থেকে এখন ফিরবে গ্রামের বাড়ীতে মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় গন্তব্যগামী অসহায় মানুষদের কথা ভেবেই তাদের নিয়ে আসা হয়েছে।
ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, করোনা ঝুঁকি না মেনে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে(ঢাকা-মেট্টো-ড-১২-১১৬৯ ) ট্রাকে গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে ফরিদপুরের উদ্দ্যেশে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক যাত্রী বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাড়ীতে পৌছানোর জন্যই ট্রাকে উঠা। এ সময় ওই ট্রাকে থাকা যাত্রীর মুখে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাক্স, হ্যান্ড গ্লাভস পড়তে দেখা যায়নি। মাঝারি একটি ট্রাকে প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।
আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, কোন ট্রাকে গাদাগাদি করে যাত্রী আনা নেওয়া হচ্ছে না। সার্বক্ষণিক ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কে থানার আওতাধীন এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম পর্যবেক্ষণ করছেন। ট্রাকে যাত্রী হিসেবে যারাই যাচ্ছেন তাদের করোনা ভাইরাস সেফটি হিসেবে মাক্স, হ্যান্ড গ্লাভস পড়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশিকুর রহমান জানান, ঢাকা ফেরত করোনা আতঙ্কে দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে বাড়ীর উদ্দ্যেশে রওনা হওয়া সাধারণ মানুষগুলোকে সচেতনামূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ট্রাকে যাত্রী যাতায়াতের বিষয়টি আমার জানা নেই।