॥শিহাবুর রহমান॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভবদিয়ায় করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর বিষয় নিয়ে বিতর্কের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় লাবলু মোল্লা(৪৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছে।
গতকাল ২১শে মার্চ সকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নে ভবদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০/১২জন আহত হয়। আহতের মধ্যে কয়েকজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে বাবলু মোল্লাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত লাবলু মোল্লা ভবদিয়া গ্রামের মৃত অখেল উদ্দিনের ছেলে।
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, গত বুধবার স্থানীয় এক ব্যক্তি মারা গেলে একই গ্রামের খালেক ডাক্তার বাড়ীর পাশে জোনার দোকানে বলে লোকটা যে মারা গেছে সে করোনা ভাইরাসে মারা গেছে। তার প্রতিউত্তরে মান্নান মোল্লা নামে এক প্রতিবেশী বলে যে না সে ৩মাস যাবত অসুস্থ্য ছিল, বয়স্ক লোক, সে করোনা ভাইরাসে মারা যাবে কেন। অসুস্থ্য থাকার কারণেই মারা গেছে। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দোকানের লোকজন তাদেরকে আলাদা করে দেয়। পরদিন একই বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঠেলা ধাক্কা হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মীমাংশা করে দিতে চেয়েছিল। গতকাল ২১শে মার্চ বিকেলে মিমাংশা হওয়ার কথা। কিন্তু সকালে মান্নান মোল্লা ও তার ভাই লাবলু মোল্লাসহ পরিবারের লোকজন বাড়ীর পাশে ক্ষেতে কাজ করতে গেলে খালেক ডাক্তার ও তার পরিবারের তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে আহত হয়ে হাসপাতালে নেয়ার পথে মান্নান মোল্লার ভাই লাবলু মোল্লা মারা যায়।
ওসি স্বপন কুমার মজুমদার আরো জানান, এ ঘটনায় পুলিশ খালেক ফকিরের ছেলে সোহাগ ফকির(২০), মাছের ফকিরের ছেলে খালেক ফকির, মনসের আলীর ছেলে ছালেক আলী(৩৮), খালেক ফকিরের স্ত্রী হাসি ফকির(৪০), তোরাপ আলীর ছেলে আরোজ আলী (৪৫)কে আটক করেছে।
বরাট ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সালাম জানান, গত বুধবার স্থানীয় এক ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু হলে করোনা ভাইরাস নিয়ে খালেক ডাক্তার ও মান্নান মোল্লা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে পরদিন উভয় পরিবারের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বিষয়টি নিয়ে মীমাংশার কথা চলছিল। কিন্তু আজ সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।