Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীর আড়াই লক্ষাধিক শিশুকে দুই ধাপে হাম-রুবেলার টিকা দেয়া হবে

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ হাম-রুবেলা ভাইরাসের টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে গতকাল ১৫ই মার্চ বেলা ১২টায় সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাংবাদিক সম্মেলনে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুল হান্নান, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মাতৃকণ্ঠের সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে যে করোনা ভাইরাসে বিশ্বের বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছে সেই রকম হাম ও রুবেলাও একটি ভাইরাস। তবে এদের মধ্যে পার্থক্য হলো করোনা ভাইরাসের টিকা এখনও আবিস্কার হয়নি কিন্তু হাম-রুবেলার প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। এই হাম-রুবেলা জাতীয় ভাইরাস সংক্রমণ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকার ২০০৮ সাল থেকে হামের টিকা এবং ২০১২ সাল থেকে রুবেলার টিকা প্রদান কর্মসূচী শুরু করে। তারই ধারবাহিকতায় আগামী ১৮ই মার্চ থেকে ২৪শে মার্চ পর্যন্ত রাজবাড়ী জেলায় হাম-রুবেলা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম ২টি ধাপে পরিচালিত হবে। প্রথম পর্যায়ে সকল স্কুলে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে যারা এই টিকা প্রথম পর্যায়ে নিতে পারবে না তাদের জেলার সকল স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টিকা প্রদান করা হবে। এই টিকা প্রদানের সময় জ্বর ও ঠান্ডা লাগাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে তাতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন প্রত্যেকটি জিনিসেরই একটি প্রভাব আছে। যখন কোন শিশুর শরীরে ঔষধটি কাজ করবে তখন এর প্রভাবে জ্বরসহ ঠান্ডা লাগতে পারে। ঔষধটি শরীরের সাথে মানিয়ে যাওয়ার পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এরপরও যদি কারো মনে কোন আতংক থাকে তবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। অনেক সময় দেখা যায় অনেকে না বুঝে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন ও সংমাধ্যমকর্মীগণ বিষয়টি সম্পর্কে না জেনে সংবাদ পরিবেশন করে। তাতে করে অনেক সময় এই কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ১৮ই মার্চ থেকে ২৪শে মার্চ পর্যন্ত রাজবাড়ী জেলায় হাম-রুবেলা ভাইরাসের টিকাদান ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। ৯ মাস থেকে ১০ বছরের কম বয়সী ২ লক্ষ ৫০ হাজার ৮৬২ জন শিশুকে হাম-রুবেলার টিকা দেয়া হবে। ১হাজার ১৩১টি অস্থায়ী, ৫টি স্থায়ী ও ১ হাজার ৩৮টি স্কুলসহ মোট ২ হাজার ১৭৪টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে হাম-রুবেলার টিকা দেয়া হবে। ১২৮ জন স্বাস্থ্য সহকারীসহ মোট ৪১৬ জন টিকাদান কর্মী এই টিকাদান কাজের সাথে নিয়োজিত থাকবেন।