Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

দেশে করোনা ভাইরাস ঃ আতংকিত না হয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে —ডাঃ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন

॥হেলাল মাহমুদ॥ সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে দেশে ৩জন আক্রান্ত হওয়ার পর সবাই কমবেশী আতংকের মধ্যে আছে। তবে এ ব্যাপারে আতংকিত না হয়ে সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিলেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল হোসেন।
গতকাল ৯ই মার্চ বিকালে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষাৎকারে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল হোসেন মাতৃকণ্ঠকে বলেন, যতদূর জেনেছি আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুস্থ আছেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই তাদের মৃত্যু হবে এমন কোন কথা নেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। যে কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে, তবে প্রবীণ শ্রেণীর লোকজন আক্রান্ত হলে ঝুঁকি বেশী থাকে, অন্যদের বেলায় ততটা নয়। একজন সুস্থ মানুষের মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

 

তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এমন কোন দেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ২ থেকে ১৪দিনের মধ্যে জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে তার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টেবিল-চেয়ার, দরজার হাতল, স্মার্ট ফোন, কম্পিউটারের কী বোর্ড থেকে ভাইরাস চড়াতে পারে। হাঁচি-কাশির জন্য টিস্যু ব্যবহার করুন এবং ঢাকনাযুক্ত বালতিতে ফেলুন। হাত দিয়ে নাক, মুখ, চোখ, কানসহ কোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ স্পর্শ করা যাবে না। ফল-মূল ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে। সবজি দিয়ে সালাদ বানানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। ময়লা টাকা ধরার পর হাত ধুতে হবে। লক্ষণ অনুযায়ী, যেমন জ্বর হলে প্যারাসিটামল এবং হাঁচি-কাশি হলে চিকিৎসা করাতে হবে। অপ্রিয় ভ্রমণ ও ভিড় এড়াতে হবে। এখন ঋতুর পরিবর্তন হচ্ছে। এমন সময়ে অনেকের জ্বর, হাঁচি-কাশি হয়, জ্বর জ্বর ভাব লাগে। সাধারণ জ্বর, হাঁচি-কাশি আমাদের দেশে স্বাভাবিক। সাধারণ ঠান্ডা লাগলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয় নাই। এ জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষারও প্রয়োজন নাই। আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস মাত্র শনাক্ত হয়েছে। তাই আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। তবে যারা দেশের বাইরে থেকে এসেছেন তাদের এমন শারীরিক অসুস্থতা (জ্বর, কাশি-শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি) দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন পড়বে। নতুন এই করোনা ভাইরাসের জন্য এখনো কোন টিকা উদ্ভাবন না হলে সচেতন হওয়া এবং সাধারণ চিকিৎসার মাধ্যমে মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব বলে দাবী করেন।