Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বসন্তপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী-স্ত্রী আহত

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ কু-প্রস্তাবের প্রতিবাদ ও জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বামী-স্ত্রীকে মারপিট করে আহত করেছে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ও তার পরিবারের লোকজন।
গত ২৩শে ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের হাটজয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলো ঃ ওমর কান্তি সেনের ছেলে তরুন কান্তি সেন(৩৫) ও তার স্ত্রী রিতা রানী সরকার(২৫)।
আহত রিতা রানী সরকার জানান, তার স্বামী তরুন কান্তি সেন রাজবাড়ী জুট মিলে চাকুরী করেন। এ কারণে বেশীর ভাগ সময়েই তিনি বাড়ীতে থাকতেন না। এ সুযোগে প্রতিবেশী মৃত শ্যামল লাল সরকারের ছেলে বসন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমির সরকার(৪৫) প্রায়ই তাকে কু-প্রস্তাব দেয়াসহ উত্যক্ত করতো। প্রতিবাদ করলে সে উল্টো তাকে গালাগালি করতো। এক পর্যায়ে বিষয়টি তিনি তার স্বামীকে জানান। এ নিয়ে তার স্বামী সমির সরকারকে এরুপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বললে সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং নানা ধরণের হুমকি দেয়।
অরুন কান্তি সেন বলেন, সমির সরকারের সাথে পূর্ব থেকেই আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল। এছাড়াও সে আমার স্ত্রীকে উত্যক্ত করাসহ কু-প্রস্তাব দিতো। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ জের ধরে গত ২১শে ফেব্রুয়ারী সকালে সে আমাদের বাড়ীতে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে নিষেধ করায় সে আমাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারে।
এ ঘটনার পরদিন গত ২২শে ফেব্রুয়ারী সমির সরকারের বিরুদ্ধে আমি রাজবাড়ী সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করায় সে আরো ক্ষিপ্ত হয়। গত ২৩শে ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমাদের জমিতে আমার রোপিত গাছ রক্ষা করার জন্য রাস্তার পাশ দিয়ে বেড়া দিতে গেলে সমির সরকার পাশে থাকা বাঁশের খুটি দিয়ে আমার মাথায় স্বজরে আঘাত করে রক্ষাক্ত জখম করে। এরপর সে ও তার দুই ছেলে এবং স্ত্রী আমাকে বেদমভাবে মারপিট করে। এ সময় আমাকে বাঁচানোর জন্য আমার স্ত্রী রিতা রানী সরকার এগিয়ে এলে তারা তার দুই চোখে কিল-ঘুষি মেরে আঘাত করে। এছাড়াও তারা তাকে এলোপাতারীভাবে মারপিট করাসহ পরিহিত কাপড় খুলে শ্লীলতাহানী করে। এ সময় আমাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে তারা আমাদের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় রিতা রানী সরকার অভিযুক্তদের আসামী করে রাজবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়নি। এ বিষয়ে তারা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।