॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এমপির বিরুদ্ধে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের করা মানহানী মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পরিবহন শ্রমিকরা।
রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন, জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও জেলা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে গতকাল ১৮ই ফেব্রুয়ারী বেলা ১১টার দিকে মুরগীর ফার্ম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রকিবুল ইসলাম পিন্টুর সভাপতিত্বে সমাবেশে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইসলাম মোল্লা, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম মধু, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুস সালাম, দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরাল ও পাংশা শাখার সভাপতি ইদ্রিস আলী বাবু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান এমপির বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন একশত কোটি টাকার যে মানহানী মামলা দায়ের করেছেন সেটি সারা দেশের সকল শ্রমিকদের জন্যই অত্যন্ত মানহানীকর ও দুঃখজনক ব্যাপার। দেশের পরিবহন সেক্টরের ৭০ লক্ষ শ্রমিক ভালোভাবেই জানে শাজাহান খান সবসময় তাদের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারেই কথা বলেন, কাজ করেন। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন নামের তথাকথিত সংগঠনের রাতারাতি নেতা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ইলিয়াস কাঞ্চন কোন এক পত্রিকার নিউজ অনুযায়ী আমাদের নেতা শাজাহান খানকে শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলার জন্য তাকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম দেন এবং তিনি ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে একশত কোটি টাকার মানহানী মামলা করেন। ইলিয়াস কাঞ্চন জানেন না বাংলাদেশে যে ৭০ লক্ষ পরিবহন শ্রমিক আছে তারা ভিমরুল ও মৌমাছির চাকের মতো একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। একবার যদি এই চাক ভেঙ্গে যায় তাহলে তার এই মামলার জন্য সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার কী অবস্থা হবে। আমরা তাকে এবং তাকে যে সমস্ত জ্ঞানপাপী লোকজন মদদ যোগাচ্ছে তাদেরকে সতর্ক করে বলছি তারা যেন শাজাহান খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কথিত মানহানীর মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেন। তা নাহলে আমরা ৭০ লক্ষ পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘটসহ কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের নেতার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য করবো।
মূলতঃ ইলিয়াস কঞ্চন ও তার সহযোগীরা শাজাহান খানের বিরুদ্ধে মামলা করে সরকার ও সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করে দেশের বিকাশমান অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।
এছাড়াও বক্তাগণ নতুন সড়ক পরিবহন আইনের বিভিন্ন ধারার বিষয়ে কথা বলেন এবং অবিলম্বে শাজাহান খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
আয়োজক তিন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্য শ্রমিকগণ এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন।