Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকট ॥ পাংশায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরে শ্যামলই একমাত্র ভরসা!

॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকট দেখা দিয়েছে।
ফলে অফিস সহকারী শ্যামল কুমার বিশ্বাস একমাত্র কর্মচারী যিনি অফিসেরই একমাত্র ভরসা হিসেবে দাপ্তরিক কাজকর্ম দেখভাল করছেন।
জানাগেছে, পাংশার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তারের মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় বদলী এবং শিবালয় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পারভীন বেগমের পাংশায় বদলী হয়েছে। বদলী জনিতকারণে গত ২৮শে মে রাজবাড়ী জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিয়ে পাংশার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার ওইদিনই সেখানে যোগদান করেছেন। কিন্তু গত ১০দিনেও পারভীন বেগম পাংশার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগদান করেন নাই।
সুত্র জানায়, পাংশা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস সহকারী দুইটি পদের মধ্য ১টি পদ শূন্য রয়েছে। অফিস সহকারী পদে কর্মরত রয়েছেন শ্যামল কুমার বিশ্বাস। ট্রেড প্রশিক্ষক পদে দীর্ঘ তিন বছর যাবত মাহবুবা খাতুন ডেপুটেশনে রাজবাড়ী জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া অফিস সহায়ক পদটি দীর্ঘ দুই বৎসর যাবত শূন্য রয়েছে।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরে ভিজিডি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, পৌরসভার মধ্যে মাদার সহায়তা তহবিল কর্মসূচী, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কর্মসূচী, যৌতুক ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কর্মসূচী, স্বেচ্চসেবী মহিলা সমিতির নিবন্ধন ও তদারকী এবং ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচীসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালু রয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটের কারণে এসব কর্মসূচী বাস্তবায়নে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গত ৬ই জুন কলিমহর ইউনিয়নে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়েছে। সেখানে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা এমনকি সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারও সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে পাংশা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী শ্যামল কুমার বিশ্বাস জানান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বদলী হয়েছে। নতুন কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত যোগদান করেন নাই। এছাড়া এখানে অন্যান্য পদে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকট রয়েছে। অফিসে তিনিই একমাত্র ভরসা বলে উল্লেখ করে অফিস সহকারী শ্যামল কুমার বিশ্বাস জানান, অফিস খোলা থেকে শুরু করে অফিসের কাজকর্ম দেখভাল করাসহ মাঠ পর্যায়ের কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।