Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী কালেক্টটের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ৯ই ফেব্রুয়ারী সকালে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক ও কমিটির সভাপতি দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির উপদেষ্টা রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম, পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম-বার, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোবাশ্বের হাসান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাস, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী আসাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাঈদুজ্জামান খান, পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবায়েত হায়াত শিপলু, কালুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) শেখ নূরুল ইসলাম, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র উপ-পরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ শরীফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহ্রাব, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুল হান্নান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীম, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি.এম কামরুল ইসলাম গোলদার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী(চঃ দাঃ) কে.বি.এম সাদ্দাম হোসেন এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যগণসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কমিটির উপদেষ্টা সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, হাসপাতাল সড়ক দিয়ে যে বালুবাহী ভারী ট্রাকগুলো চলাচল করে সেগুলো যেহেতু বন্ধ করা যাচ্ছে না সেহেতু সেগুলো যেন প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচল করে সেই অনুরোধ জানাচ্ছি। দৌলতদিয়া ঘাটের চাপ কমাতে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় মহাসড়কের পাশ দিয়ে যে ট্রাকগুলো আটকে রাখা হয় সেগুলো আগে গোয়ালন্দ মোড় থেকে ফরিদপুরের দিকে রাখা হতো। কিন্তু এখন সেগুলো গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে রাখা হয়। এতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও তিনি রাজবাড়ী পৌর এলাকার মধ্যে ও মহাসড়কের পাশের ইটভাটা এবং সেগুলোতে কাঠ পোড়ানোর সমালোচনা করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার অনুরোধ জানান।
কমিটির আরেক উপদেষ্টা রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মাহেন্দ্রগুলোকে মহাসড়ক দিয়ে না চলাচল করে ভিতরের সড়ক দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। সঠিকভাবে বয়ষ্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার কার্ড বিতরণ করতে হবে, নইলে সরকারের বদনাম হয়। পাংশা থেকে রাজবাড়ীর দিকে আসা মাহেন্দ্র ও অটোরিক্সা গুলোর কাছ থেকে বাস মালিক সমিতির লোকজন টাকা আদায় করে। এ ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে হবে।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, যেসব ইটভাটার কাগজপত্রের আপডেট নাই এবং কাঠ পোড়ানো হয় সেগুলোর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে আইন-শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা ছাড়াও মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে যথাযথভাবে মুজিববর্ষ উদযাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম-বার বলেন, শহরের মধ্য দিয়ে বালুবাহী ভারী ট্রাক চলাচলের ব্যাপারে পুলিশের সমালোচনা করা হয়। আমাদের কথা হচ্ছে, আপনারা বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন-তাহলেই আর এসব ট্রাক চলবে না। হিসাবটা খুবই সোজা। দৌলতদিয়া ঘাটের দালালদেরও আমরা উচ্ছেদ করতে চাই, আপনারা কোন সুপারিশ নিয়ে আসবেন না।
রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, দৌলতদিয়া থেকে যে ট্রাক টার্মিনাল রয়েছে সেখানে ট্রাক না রেখে গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে মহাসড়কের পাশ দিয়ে রাখা হয়। এতে ট্রাকের দীর্ঘ লাইন ও যানজটের সৃষ্টি হয়ে গাড়ী চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এছাড়া হাসপাতাল সড়ক দিয়ে ওভার লোডের বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তা নষ্ট হওয়াসহ চলাচলে বিঘ্ন ও দুর্ঘটনা ঘটে।
এছাড়াও সভায় যখন-তখন উচ্চ স্বরে মাইকিং, ওয়াজ মাহফিলের নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে মাইক ব্যবহার না করা, ফেলুর দোকান ও মকবুলের দোকান এলাকায় ট্রাক রাখার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।