॥নিউইয়র্ক প্রতিনিধি॥ জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং বিচক্ষণ ক‚টনৈতিক প্রজ্ঞায় জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে।
তিনি গত ২২শে জানুয়ারী নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে আয়োজিত স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
এ সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রথম সচিব(প্রেস) মোঃ নুর এলাহি মিনা ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মোঃ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশের এই ঘনিষ্ট সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আরো সাফল্যের সঙ্গে জাতিসংঘে তুলে ধরতে স্থায়ী মিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাবাব ফাতিমা তার বক্তব্যে জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ, রোহিঙ্গা ইস্যু, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, জাতিসংঘ নেতৃবৃন্দকে বাংলাদেশ বিষয়ে সচেতন রাখা, বিভিন্ন রেজুলেশনে সহযোগী ও সমন্বয়কের ভূমিকা পালন, নির্বাচনে বিজয়, শান্তির সংস্কৃতি রেজ্যুলেশন গ্রহণ, জাতিসংঘের তহবিল ও বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, নিরাপত্তা পরিষদে সম্পৃক্ততা, একাত্তুরের গণহত্যার আন্তর্জাতিকীকরণ, জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো শোক দিবস পালন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন, গ্রæপ অব ফ্রেন্ডস্ প্লাটফর্মকে এগিয়ে নেওয়া ও কোমল ক‚টনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গত বছরে জাতিসংঘে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও সফলতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
এ সকল অংশগ্রহণ ও অর্জিত সাফল্যের বিষয়গুলো সহজভাবে সারা বছর প্রবাসী বাঙালিসহ দেশের জনগণের মধ্যে সংবাদের মাধ্যমে উপস্থাপনের জন্য সাংবাদিকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের বিভিন্ন পরিকল্পনাসহ ২০২০ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের যে সকল বিষয় বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে এবং যেসকল চ্যালেঞ্জ রয়েছে সে সমন্ধে আলোকপাত করেন রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
সভায় রোহিঙ্গা ইস্যু, মুজিব বর্ষ উদযাপন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ও এসডিজি বাস্তবায়নসহ জাতিসংঘে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
এছাড়াও সভায় সাংবাদিকদের মুজিববর্ষের লোগো সম্বলিত একটি মগ ও স্থায়ী মিশন প্রকাশিত ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রকাশনা প্রদান করা হয় এবং বাংলাদেশী খাবারে আপ্যায়ন করা হয়।