॥স্টাফ রিপোর্টার॥ সরকারী কর্মকর্তাদের সংগঠন ঐতিহ্যবাহী ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
অফিসার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদাধিকারবলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
গত ১৭ই জানুয়ারী বিকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অফিসার্স ক্লাবের নির্বাহী কমিটির ২০২০-২০২১ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শনিবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ক্লাবের দুই বছর মেয়াদী কার্যনির্বাহী কমিটির এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সাবেক সচিব আব্দুল হান্নান। কমিশনের সদস্য হিসেবে ছিলেন সাবেক সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন ও বর্তমান জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।
ভোটের মাধ্যমে ৩জন ভাইস চেয়ারম্যান, ১জন সাধারণ সম্পাদক, ৩জন যুগ্ম-সম্পাদক, ১জন কোষাধ্যক্ষ ও ১৪জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সাধারণ সম্পাদক ক্লাবের প্রশাসনিক প্রধান। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কে এম মোজাম্মেল হক, আনছার আলী খান ও এম খালিদ মাহমুদ। যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মুস্তকীম বিল্লাহ ফারুকী, অধ্যাপক ফেরদৌসী খান ও আজহারুল ইসলাম খান।
নির্বাচিত ১৪ সদস্য হলেন ঃ ডাঃ মনিলাল আইচ লিটু, আমিনুল ইসলাম, তানিয়া খান, মুহাম্মদ সাকিব সাদাকাত, দেলোয়ার হোসেন, আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক আশরাফুন্নেসা রোজী, সুরাইয়া পারভীন শেলী, আকতারুজ্জামান, এম.এ মজিদ, জসীম উদ্দীন হায়দার, রথীন্দ্র নাথ দত্ত, মীর মনজুরুর রহমান ও জাকেরুল আবেদীন আপেল।
কমিটির ২২টি পদের বিপরীতে ৫১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদ। সাবেক সচিব ও অফিসার্স ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন খান এবং বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম-সচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মান্নান ইলিয়াস।
ভাইস চেয়ারম্যানের তিনটি পদে ৯জন এবং যুগ্ম-সম্পাদকের ৩টি পদের জন্য ৪জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ছাড়া ১৪টি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩৫জন। ক্লাবের মোট ৭হাজার ৮০জন সদস্যর মধ্যে ভোটার ৫হাজার ৪৮৩জন।