Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে কুয়াশায় আবারও দুই ঘন্টা ফেরী বন্ধ॥দুর্ভোগ

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবারও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে দুই ঘন্টার বেশি ফেরী চলাচল বন্ধ ছিল।
আগের দিন বুধবার সকালে এই নৌপথে কুয়াশার কারণে চার ঘন্টার মতো ফেরীসহ নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে উভয় ঘাটে আটকা পড়ে কয়েকশ গাড়ি। দুর্ভোগের শিকার হন বিশ^ ইজতেমাগামী মুসল্লী সহ সাধারণ যাত্রীরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে ১৬টি ফেরী চলাচল করছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। প্রতিদিন এখান দিয়ে চলাচলরত যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নির্বিঘ্ন করতে ১৬ থেকে ১৭টি ফেরী সব সময় সচল থাকা দরকার। বর্তমানে ১৬টি ফেরী থাকলেও প্রায় এক-দুটি যান্ত্রিক ক্রটিতে বিকল থাকছে। ফেরী স্বল্পতার মাঝে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গাড়ি পারাপার বিঘ্নিত হওয়ায় ঘাটে গাড়ি আটকে থাকছে।
এমন পরিস্থিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে নদী অববাহিকায় কুয়াশা পড়লে ভোর ছয়টা থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া কয়েকটি ফেরী মাঝ নদীতে পৌছে কুয়াশার কবলে পড়ে। মাষ্টারগণ অতি সতর্কতার সাথে চালিয়ে ফেরী নিরাপদে ঘাটে পৌছে। কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে গাড়ি লোড নিয়ে দৌলতদিয়ায় ৮টি এবং পাটুরিয়া প্রান্তে আরো ৮টি ফেরী নোঙর করে ছিল। দুই ঘন্টা পর সকাল আটটার পর কুয়াশা কমে গেলে পুনরায় ফেরী চালু হয়। এতে করে উভয় ঘাটে কয়েকশ গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় ছিল।
এর আগে বুধবার সকালে এই নৌপথে চার ঘন্টা ফেরীসহ সব নৌযান বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। পারাপার হতে না পারায় আটকা থাকা গাড়ির যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। ওই সব গাড়ি রাতের মধ্যে নদী পাড়ি দিয়ে শেষ হওয়ার আগেই ফের গতকাল দুই ঘন্টা নৌযান বন্ধ থাকে। এতে করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ লাইনে নিয়মিত গাড়ির সাথে বিশ্ব ইজতেমাগামী গাড়ি আটকা পড়ে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বলেন, যে কটি ফেরী আছে সবকটি সচল থাকলে খুব বেশি একটা বেগ পোহাতে হয় না। কিন্তু মাঝে মধ্যে এক-দুটি যান্ত্রিক ক্রটিতে বসে থাকলে সমস্যায় পড়তে হয়। এরপর কুয়াশার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কয়েক ঘন্টা করে ফেরী বন্ধ থাকছে। সেই সাথে বিশ্ব ইজতেমাগামী গাড়ির কারণে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে উভয় ঘাটেই আটকে থাকা গাড়ির যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।