Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীতে যুবকের দুই হাতের কব্জি কর্তনের মামলায় পলাতক ২আসামী গ্রেপ্তার

॥হেলাল মাহমুদ॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামে মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় যুবকের দুই হাতের কব্জি কর্তনের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক ২জন আসামীকে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গত ১২ই জানুয়ারী রাতে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সুলতানপুর ও ঢাকার সাভার থানাধীন রমনা কালীবাড়ী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ঃ রাজবাড়ী সদর উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের আমিন হক রাঢ়ীর ছেলে আহসান হাবিব লালু(৩০) এবং একই গ্রামের সুরুজ লাঠিয়ালের ছেলে শাহ আলম(২৮)।
গতকাল ১৩ই জানুয়ারী দুপুরে পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান,পিপিএম(বার) তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের জানান, বিগত ২০১৯ সালের ৪ঠা আগস্ট বিকালে রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের যুবক শাহীন খান (২৮)কে বাড়ী থেকে ডেকে স্থানীয় কবরস্থানের পাশে নিয়ে ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে দুই হাত কব্জি থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়। ওই ঘটনায় শাহীন খানের পিতা হাসেম খান বাদী হয়ে ৫জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে। ইতিপূর্বে পুলিশ মামলার এজাহারনামীয় আসামী শাহীন রাঢ়ী (২৮)কে গ্রেফতার এবং ঘটনায় ব্যবহৃত ৩টি চাপাতি উদ্ধার করে। গত ১৩ই জানুয়ারী রাতে রাজবাড়ী থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার এবং এস.আই হিরণ কুমার বিশ্বাস সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে প্রথমে সুলতানপুরের এক আত্মীয় বাড়ী থেকে মামলার আসামী শাহ আলমকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার সাভারের কালীবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আহসান হাবিব লালুকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অপর দুই আসামী ইসমাইল ও ইদ্রিস পলাতক রয়েছে।
এদিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং চলাকালে মা, ভাই, স্ত্রী, শিশু পুত্রসহ সেখানে আসে ভিকটিম শাহীন খান সেখানে আসে। এ সময় দুই হাতের কব্জি হারানো শাহীন খান কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, মাদক ব্যবসায় জড়িতদের ধরিয়ে দেয়ায় আমাকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে হাত কেটে দেয়। আমার একটা হাত কাটার পর ওদেরকে অনুনয় করে বলি, দেখ-আমার স্ত্রী ও ছোট একটি সন্তান আছে। আরেকটা হাত তোরা কাটিস না। কিন্তু ওরা শুনলো না। এখন কে আমার স্ত্রী-সন্তানদের খাওয়াবে, কীভাবে চলবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর নিকট আসামীদের ফাঁসি ও আমার যাতে বেঁচে থাকার মতো একটা ব্যবস্থা হয় সেই দাবী জানাচ্ছি।