Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বিনামূল্যে বই বিতরণের মাধমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন — কাজী ইরাদত আলী

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্য বই বিতরণের অংশ হিসেবে গতকাল ১লা জানুয়ারী সকালে রাজবাড়ী টাউন মক্তব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং বিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সফিকুল ইসলাম সফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুন কক্স, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও রাজবাড়ী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর শেখ তিতু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ও দৈনিক মাতৃকণ্ঠের সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিনসহ অন্যান্য সদস্যগণ, শিক্ষক মন্ডলী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী ইরাদত আলী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সর্বদিক দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। তার মধ্যে দেশের প্রতিটি নাগরিককে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার জন্য তিনি শিক্ষা সেক্টরকে সবচেয়ে বেশী অগ্রাধিকার প্রদান করেছেন। তারই ধারবাহিকতায় আজকে বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের প্রতিটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি ৩০ লক্ষ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৩৪ কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে, যা পৃথিবীর মধ্যে বিরল একটি ঘটনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেই তিনি বিনামূল্যে বই বিতরণের মাধমে সারা বিশ্বের মধ্যে এই বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছেন। শুধু শিক্ষা সেক্টরেই নয় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। এই উন্নয়নের ধারায় হয়তো সেদিন আর বেশী দূরে নয়, যেদিন আমরা তার নেতৃত্বে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশেকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। সে জন্য আমি অভিভাবকদের অনুরোধ করছি তারা যেন তাদের সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর মাধ্যমে ভবিষ্যতের উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তোলেন।