॥এম.এইচ আক্কাছ॥ ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ৭ ঘন্টা বন্ধ ফেরী চলাচল রেখেছিল কর্তৃপক্ষ।
গত ১৯শে ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টা থেকে গতকাল ২০শে ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ফেরী চলাচল বন্ধ থাকার সময় মাঝ নদীতে ৪টি ফেরী আটকে পড়ে। এছাড়া দৌলতদিয়া ঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। এতে আটকে পড়া ফেরী ও যানবাহনের চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
গতকাল শুক্রবার সকালে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারী পর্যন্ত বাস, মিনিবাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, ট্রাকসহ কয়েকশত যানবাহন নদী পাড়ের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটে ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন। যানজটের সুযোগে রিক্সা-অটোরিক্সা, মাহেন্দ্রর চালকরাও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
জানা গেছে, ঢাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও ঘন কুয়াশায় ৭ঘন্টা ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় যানবাহনের লাইন দীর্ঘ হয়। সম্মেলনে যোগদানের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই দৌলতদিয়ায় যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। রাত ১০টার পর থেকে কুয়াশার চাদরে নদী ঢেকে গেলে ফেরী চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে কর্তৃপক্ষ ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রী বোঝাই বাসগুলো ঘাটে পৌঁছাতে না পেরে মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এ অবস্থায় তারা পায়ে হেঁটে দৌলতদিয়া ঘাটে পৌঁছায়। অপরদিকে ঘাটের চাপ কমাতে হাইওয়ে পুলিশ গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় বিপুল সংখ্যক পণ্যবাহী ট্রাক আটক করে রাখে।
বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর কুয়াশা কেটে গেলে ভোর সাড়ে ৫টায় আবার ফেরী চলাচল স্বাভাবিক হয়। ৭ ঘন্টা ফেরী বন্ধ থাকায় মহাসড়কে কয়েকশত যানবাহন আটকা পড়েছে। তবে দ্রুতই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে বলে আশা করছি।