Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে বিতর্কিত কোন ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা হবে না ———এমপি জিল্লুল হাকিম

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন গতকাল ১০ই ডিসেম্বর দুপুরে গোয়ালন্দ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ফকির মহিউদ্দিন আনসার ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী। এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি মোঃ জিল্লুল হাকিম বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া। সম্মেলনের শুরুতে সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন গেদু।
উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও প্রচার সম্পাদক গোলাম মর্তুজা হেলালের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আব্দুস সোবহান, আব্দুস ছাত্তার মিয়া, এডঃ গণেশ নারায়ণ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ্ত চক্রবর্তী কান্ত, রাজবাড়ী পৌর আ’লীগের সভাপতি মোঃ উজির আলী শেখ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম সফি, গোয়ালন্দ উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম খান, গোলজার হোসেন মৃধা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আতিকুজ্জামান সেন্টু, গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাকলী নজরুল, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র শেখ মোঃ নিজাম, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হোসেন জাকির ও দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, নেতাকর্মীরা কমিটিতে পতিতালয়ের বাড়িওয়ালা, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের না রাখার দাবী জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের ভিতর শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন। তার অংশ হিসেবে এবং নেতাকর্মীদের অনুরোধে কোন বিতর্কিত ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা হবে না। সম্প্রতি গোয়ালন্দ উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতদিয়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডলের বিরুদ্ধে নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ ওঠায় সাধারণ সম্পাদক থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাঁকে রক্ষা করতে কিছু ব্যক্তি উঠে পড়ে লেগেছেন।
জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, গঠনতন্ত্র অনুসরন করে বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ রেখে সম্মেলন হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গত ৭ই ডিসেম্বর যখন গোয়ালন্দ পৌর আ’লীগের সম্মেলন চলছিল তখন আমার বড় ভাই সাংসদ কাজী কেরামত আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক আকবর আলী মর্জি ও রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরীসহ অন্যান্যরা চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট ‘পালকিতে’ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। জনবিচ্ছিন্ন নেতারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এ কাজ করছেন।
সম্মেলনে অন্যান্য বক্তাগণ উপজেলা আ’লীগের কমিটিতে যৌনপল্লীর বাড়িওয়ালা, ঘাটের দালাল, মাদক ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসীদের স্থান না দেয়ার অনুরোধ জানান।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জিল্লুল হাকিম।
এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের সম্মতিক্রমে ও মঞ্চে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মতামত নিয়ে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী পুনরায় গোয়ালন্দ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি হিসেবে মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মোঃ সোহরাব হোসেন গেদুর নাম ঘোষণা করেন। প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পৌর আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় এমপি মোঃ জিল্লুল হাকিম ১নম্বর সদস্য হিসেবে পৌরসভার মেয়র শেখ মোঃ নিজামের নাম ঘোষণা করেন।