Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

দৌলতদিয়ার দুর্গম চরে গড়ে ওঠা অস্থায়ী ইলিশের বাজার গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন

॥এম.এইচ আক্কাছ॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটের প্রায় ৪কিলোমিটার পূর্বে দুর্গম চরে গড়ে ওঠা ইলিশ বেচাকেনার অবৈধ বাজার গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
গত ২৮শে অক্টোবর রাতে গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কলাবাগান নামক এলাকায় মূল নদী থেকে বিশেষ কায়দায় নালা খনন করে গড়ে তোলা বাজারটি গুড়িয়ে দেয়াসহ সেখানে জড়ো হওয়া জেলেদের কাছ থেকে প্রায় ১৫মিটার জাল ও কয়েকটি জেলে নৌকা ধ্বংস করা হয়। উপজেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণসহ নৌ-পুলিশের একটি দল অভিযানে সহযোগিতা করে।
প্রতি বছরই ইলিশ আহরণের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে দুর্গম চর এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় ইলিশ বেচাকেনার বাজার গড়ে ওঠে। এবারও পদ্মার দুর্গম চরে ব্যাপক আয়োজনে গড়ে তোলা হয়েছিল এই বাজার। যেখানে জেলে নৌকার জন্য জ্বালানী তেল ও খাবার বিক্রির দোকানসহ বেশকিছু দোকানপাটও বসেছিল।
জনশ্রুতি আছে, প্রতি বছর অভিযান শুরু হওয়ার আগেই স্থানীয় পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে একটি প্রভাবশালী মহল জেলেদের নিয়ে ওই বাজার বসায়। ওই বাজারকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর জেলেদের নিষিদ্ধ সময়ে ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরার জন্য অগ্রীম দাদন দেয়া হয়ে থাকে। তাদেরকে ম্যানেজ করার জন্য আলাদা আলাদা দালাল নিয়োগের মাধ্যমে বাজেট করে অর্থের যোগান দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকে শত শত জেলে নৌকা পদ্মায় ইলিশ শিকার করে সেখানে নিয়ে বিক্রি করতো। কম দামে সেই ইলিশ কেনার জন্য অসংখ্য মানুষ সেখানে ভীড় করতেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল শরীফ জানান, দৌলতদিয়ার দুর্গম চরের কলাবাগান নামক স্থানে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের জন্য গড়ে ওঠা ইলিশ বাজার নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে গত সোমবার নৌ-পুলিশের সহযোগিতায় ওই বাজারে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে দোকানপাট গুড়িয়ে দেয়াসহ বিপুল পরিমাণ জাল ও জেলে নৌকা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস এবং ১জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া গোয়ালন্দ সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কলাবাগান এলাকার ইলিশ বাজারটি গুড়িয়ে দেয়াসহ পদ্মায় ইলিশ শিকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।