Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

উদয়পুর আইডিয়াল একাডেমীর দুই শিক্ষককে ক্লাস নিতে বাঁধা দিচ্ছে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক

॥সুশীল কুমার দাস॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের উদয়পুর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা আইডিয়াল একাডেমীর প্রধান শিক্ষক তাছলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ দুই শিক্ষককে ক্লাস নিতে না দিয়ে কেরাণী, দপ্তরী ও বহিরাগতদের দিয়ে পাঠদান করানোর অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ওলিউল্লাহ এবং সহকারী শিক্ষক(সহকারী গ্রন্থাগারিক) সুরাইয়া ফারজানা রূপা গত ১৭ই অক্টোবর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২১/০১/২০১৯ইং তারিখে বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক প্রভাবশালী একটি মহলের শক্তির বলে জোরপূর্বক তাদেরকে শ্রেণী কক্ষে পাঠদান করা থেকে বিরত রেখে কেরাণী, দপ্তরী ও বহিরাগতদের দিয়ে ক্লাস পরিচালনা করাচ্ছেন। তার সীমাহীন স্বেচ্ছাচারিতার কারণে ২০১৮ সালের জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২৬ জন ছাত্রীর মধ্যে ২২ জন ছাত্রীই অকৃতকার্য হয়। প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতার প্রতিবাদ করায় তাদের এহেন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে। তদন্ত কমিটি কর্তৃক তার ৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ১শত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর এ সংক্রান্তে গত ২৩শে জুলাই/২০১৯ তারিখে দৈনিক মাতৃকণ্ঠ ও দৈনিক শিক্ষা এবং ২৬শে জুলাই/২০১৯ দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে দিন দিন বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তাদেরকে ক্লাসে পাঠদানের ব্যবস্থা পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, রাজবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন গাজী বলেন, নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য বহু কষ্টে তিল তিল করে তিনি প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। কিন্তু বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক তাসলিমা খাতুনের নীতিমালা বহির্ভুত শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপ, কর্তব্যে অবহেলা, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার জন্য প্রতিষ্ঠানটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। নিজের অনুগত প্রতিবন্ধী একজন শিক্ষক ছাড়া নিয়োগপ্রাপ্ত অন্য শিক্ষকদের বাদ দিয়ে অফিস সহকারী, পিয়ন ও বহিরাগত ছাত্রদের দিয়ে ক্লাস করাচ্ছেন। ছাত্রীদের চাপ দিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অপকর্ম করছেন। আমি এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।