॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার ঘটনায় রাজবাড়ীর আনসার কমান্ডার মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়ার দায়েরকৃত মামলায় তার স্ত্রী তিন সন্তানের জননী আছিয়া বেগম(৩৯) ও গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাইট গার্ড এক কন্যা সন্তানের জনক তারিকুল ইসলাম (৩৫)কে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
গতকাল ২১শে অক্টোবর আছিয়া বেগম ও তারিকুল ইসলাম রাজবাড়ীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক আবেদন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
এ সময় আনসার কমান্ডার মোন্তান উদ্দিন ভুঁইয়া তার দুই প্রতিবন্ধী কন্যা ও কলেজ পড়–য়া ছেলেকে নিয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাইট গার্ড তারিকুল ইসলাম স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার ঘটনায় আনসার কমান্ডার মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে গত ১৩ই অক্টোবর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। তারিকুল রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের গোপীনাথদিয়া গ্রামের আজিবরের ছেলে। আনসার কমান্ডার মোন্তাজের বাড়ীও একই এলাকায়। তারিকুলের সাথে ভেগে যাওয়ার সময় সে স্বামীর ঘর থেকে নগদ ৮৬ হাজার টাকা ও ৫ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে মোন্তাজ উদ্দিন ভুঁইয়ার মামলায় উল্লেখ করা হয়।
আনসার কমান্ডার মোন্তাজ উদ্দিন বলেন, একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় তারিকুল আমার স্ত্রীকে ফুপু ডেকে বাড়ীতে আসা-যাওয়া করতো। একপর্যায়ে দু’জনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইতিপূর্বে তারিকুল আমার স্ত্রীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। তাকে ভাগিয়ে নেয়ায় দু’টি প্রতিবন্ধী মেয়ে ও কলেজ পড়–য়া ছেলেকে নিয়ে আমি চরম বিপাকে পড়েছি। আমার জীবন ও সংসার দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। অর্থ-সম্পদ খোয়া যাওয়ার সাথে সাথে আমার মান-সম্মানও শেষ হয়ে গেছে। গতকাল ২১শে অক্টোবর সকালে আমার আইনজীবীর সহকারীর কাছ থেকে তাদের আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন চাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত আমি আমার প্রতিবন্ধী ২টি মেয়ে ও কলেজ পড়–য়া ছেলেকে নিয়ে আদালতে হাজির হয়ে আমার আইনজীবীদের দিয়ে তাদের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করি। পরে আদালত জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
মোন্তাজ উদ্দিন আরো বলেন, বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেয়ার পর পুলিশ ও আইনজীবীদের সামনেই তারিকুল জেল থেকে বের হয়েই আমাকে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে তারিকুলের স্বজনরাও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার আমি রাজবাড়ী থানায় তারিকুল এবং তার দুই ভাই ও পিতার নামে ১১৩৭ নং জিডি করেছি। আমি তারিকুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সন্তানদের স্বার্থে স্ত্রীকে ফিরে পেতে চাই।