Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

গোয়ালন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলামের জানাযাতে মানুষের ঢল

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবিএম নুরুল ইসলাম(৬০) এর নামাজে জানাযা ও দাফন গতকাল শুক্রবার সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার ছেলেসহ অসংখ্য গুনগ্রাহি রেখে গেছেন।
তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানায়, তিনি গত ২৫শে সেপ্টেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে ফরিদপুর পরবর্তীতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক রোগে ভূগছিলেন। পরবর্তীতে তিনি গত ৩রা অক্টোবর ঢাকার বারডেম হাসপাতালে বাইপাস সার্জারী করেন। মাত্র চারদিন পর তিনি সুস্থ্যতা অনুভব করলে ঢাকায় নিকট স্বজনের বাসায় অবস্থান নেন। কিন্তু তার কয়েকদিন পর থেকে তিনি বেশ অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। একই সাথে তাঁর জ্বর দেখা দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি দ্রুত ভর্তি হন এ্যাপোলো হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১.২৫ মিনিটে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
ওই রাতেই তাঁর লাশ গোয়ালন্দ বাজার আড়তপট্রি এলাকার নিজ বাড়িতে আনা হয়। গতকাল শুক্রবার সকাল নয়টায় তার লাশবাহী কফিন প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রাখা হয়।
সেখানে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বারসহ আ’লীগের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বেলা সোয়া দশটায় সরকারী গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজ মাঠে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা নামাজে রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু, সহকারী কমিশনার(ভূমি) আব্দুল্লাহ আল-মামুনসহ আ’লীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। এরপর গোয়ালন্দ পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এবিএম নূরুল ইসলাম গত ৭ই মার্চ-২০১৯ তারিখে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে বিগত ২০১৪ সালের ৩১শে মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত হন। তার আগে তিনি তিনবার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।