Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

গোয়ালন্দে পুলিশের অভিযানে কক্সবাজার থেকে পালিয়ে আসা ৫নারীসহ ৮জন রোহিঙ্গা আটক

॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ কক্সবাজারের উখিয়া থানার কুতুপালং থেকে পালিয়ে আসা ৫নারীসহ ৮জন রোহিঙ্গাকে গতকাল বৃহস্পতিবার আটক করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
আটককৃতরা গত বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে বাস যোগে সাতক্ষীরা যাচ্ছিল। এরা বর্তমানে গোয়ালন্দ ঘাট থানা হেফাজতে রয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ জানায়, কক্সবাজারের উখিয়া থানার কুতুপালং ইরানী পাহাড় ব্লক-ই ১ এর ২নম্বর শিবির থেকে গত বুধবার ৫জন নারী ও ৩জন পুরুষসহ মোট আটজন রোহিঙ্গা বের হয়। ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তারা চট্রগ্রাম থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ঈগল পরিবহনের একটি বাস(ঢাকা-মেট্রো ব-১৫-২৫৩৯) যোগে রওয়ানা করেন। বাসের ডি-১,২,৩ ও ৪ এবং ই-১,২,৩ ও ৪ নম্বর সিটে বসে ছিলেন। বাসের চালক ও সুপারভাইজার তাদের কথায় বুঝতে না পেরে বিপদে পড়েন।
পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল জানতে পেরে ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের গোয়ালন্দের পদ্মার মোড় নামক এলাকায় অপেক্ষা করতে থাকে। বাসটি সেখানে এলে পুলিশ দল বাসের চালক রবিউল হোসেন ও সুপারভাইজার তোফায়েল শিকদারের দেওয়া তথ্যমতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এস.আই মোঃ মিজানুর রহমান ৮জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে বাস থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বিষয়টি উখিয়া থানার কর্তব্যরত সহকারী এএসআই জমির উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের পর নিশ্চিত হন।
আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন ঃ গোরা মিয়ার ছেলে রশিদুল্লাহ(২৫), তার স্ত্রী রশিদুল্লাহর স্ত্রী নুর কলমা(২০), নুর হোসেন এর মেয়ে মিনারা বেগম(২০), নুর আহম্মদের স্ত্রী জোহরা(৫৫), জামাল হোসেনের মেয়ে খুশনামা বেগম(১৮), নুরুল আমিনের মেয়ে রশিদা(১৮), আমির হোসেনের ছেলে কামাল(১৬) ও মীর আহমদের ছেলে মীর জাফর (১৮)। এরা প্রত্যেকে এখন গোয়ালন্দ ঘাট থানা হেফাজতে রয়েছে।
আটককৃত রোহিঙ্গা রশিদুল্লাহ গতকাল ১৭ই অক্টোবর থানা হেফাজতে আলাপকালে জানান, তারা কাজের সন্ধানে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসেন। গত বুধবার বিকেলে একত্রে সবাই মিলে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছিলেন। পথিমধ্যে পুলিশ তাদেরকে আটক করেছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পেরে গোয়ালন্দের পদ্মার মোড় এলাকায় গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে ওই বাসটি আসামাত্র থামিয়ে ওই আট রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। তাদেরকে বর্তমানে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁদের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।