॥শিহাবুর রহমান/রফিকুল ইসলাম॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার উয়দপুর বালিকা আইডিয়াল একাডেমী প্রাঙ্গনে গতকাল ২৮শে এপ্রিল বিকেলে বসন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী-১আসনের এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বক্তব্য রাখেন।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঃ সাত্তার মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, এডঃ সফিকুল আজম মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক অসীম কুমার পাল ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী খান বক্তব্য রাখেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বসন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক গাজী আব্দুল মান্নান।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা এস.এম নওয়াব আলী, এডঃ রফিকুল ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অরুপ দত্ত হলি, প্রচার সম্পাদক এডঃ শফিকুল হোসেন, উপ-প্রচার সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সানাউল্লাহ বিশ্বাস ও অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক রাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মিরা অভিযোগের সুরে বলেন, গত ইউপি নির্বাচনসহ সাংগঠনিক বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মতবিরোধ ও তাদের মধ্যে সম্পর্ক নেই। ফলে এর প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। দলের স্বার্থে তারা এই ২জনের মধ্যে সু-সম্পর্কের গুরুত্বারোপ করেন।
এদিকে বর্ধিত সভা খোলা মাঠে আয়োজন করায় সেটি জনসভায় পরিণত হয়। ফলে অনেকেই পাওয়া ও না পাওয়া এবং দুঃখ-বেদনার কথাও উন্মুক্তভাবে জাহির করেন।
তৃণমূল নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অনেক ভাইরাস দলে ঢুকে দলটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমাদের উন্নয়নে এতোটুকু ঘাটতি নেই। ঘাটতি আছে শুধু ঐক্যের। সে কারণে দলের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
সভায় এমপি আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী বলেন, আপনারা ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ দেখবেন না। আওয়ামীলীগ যারা করে তারা ব্যক্তিগত স্বার্থ চিন্তা করে না। তারা দেশের চিন্তা করে। আপনারা দেখবেন বিএনপির আমলে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের আমলে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে। আমি শিক্ষাখাতে বিএনপি আওয়ামলীগ বাছি না। এই স্কুলটি বিএনপির নেতা আবুল হোসেন গাজী করলেও আমি এখানে ১০লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজ করে দিয়েছি।
তাই তৃণমূল পর্যায়ের সকল নেতাকর্মিকে নিজেদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে সংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে।
জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, আমরা সবাই মুজিব ভক্ত। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই কিন্তু আমরা সকলে বুক ফুলিয়ে চলতে পারছি। নৌকা প্রতীক নিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন। যারা নৌকার প্রতীকের বাইরে নির্বাচন করেছেন তারা ঠিক করেননি। আমি নিজেও রাজবাড়ী পৌরসভার নির্বাচনে প্রার্থী ছিলাম। আমি নমিনেশন পায়নি, কিন্তু ঘরে বসে থাকেনি। নৌকার পক্ষে নির্বাচন করেছি। কারণ আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। নৌকার বিরুদ্ধে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। তাই সবাইকে নৌকার পতাকা তলে আসতে হবে। এখানে সাংগঠনিক যে সমস্যা গুলো আছে তা আমরা সমাধান করবো।