Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

আনসার কমান্ডারের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়েছে গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাইট গার্ড !

॥এম.এইচ আক্কাছ॥ গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নাইট গার্ড এক কন্যা সন্তানের জনক তারিকুল ইসলাম(৩৫) রাজবাড়ীর মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া নামের একজন আনসার কমান্ডারের স্ত্রী তিন সন্তানের জননী আছিয়া বেগম (৩৯)কে ভাগিয়ে নিয়েছে।
এ ঘটনায় আনসার কমান্ডার মোন্তাজ উদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে নাইট গার্ড তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গতকাল ১৩ই অক্টোবর আদালতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছে। তারিকুল রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের গোপীনাথদিয়া গ্রামের আজিবরের ছেলে। আনসার কমান্ডার মোন্তাজের বাড়ীও একই এলাকায়। তারিকুলের সাথে ভেগে যাওয়ার সময় সে স্বামীর ঘর থেকে নগদ ৮৬ হাজার টাকা ও ৫ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে আনসার কমান্ডার মোন্তাজ উদ্দিন ভুঁইয়া দাবী করেছেন।
গত শনিবার দুপুরে মোন্তাজ উদ্দিন তার ২টি প্রতিবন্ধী মেয়ে ও কলেজ পড়–য়া ছেলেকে সাথে নিয়ে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে আসে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তারিকুলের বাসায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশের একটি দল ও উৎসুক জনতা হাসপাতালে ভিড় করে। অবস্থা বেগতিক দেখে আগেই তারিকুল আছিয়াকে নিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়ে। ঘটনার পর থেকে মোন্তাজ উদ্দিন সন্তানদের নিয়ে ২দিন ধরে গোয়ালন্দের এক আনসার কমান্ডারের বাসায় অবস্থান করছেন।
মোন্তাজ উদ্দিন বলেন, ‘একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় তারিকুল আমার স্ত্রীকে ফুপু ডেকে বাড়ীতে আসা-যাওয়া করতো। একপর্যায়ে দু’জনের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইতিপূর্বে তারিকুল আমার স্ত্রীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে। তাকে ভাগিয়ে নেয়ায় দু’টি প্রতিবন্ধী মেয়ে ও কলেজ পড়–য়া ছেলেকে নিয়ে আমি চরম বিপাকে পড়েছি। আমার জীবন ও সংসার দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। অর্থ-সম্পদ খোয়া যাওয়ার সাথে সাথে আমার মান-সম্মানও নষ্ট হয়ে গেছে। আমি লম্পট প্রতারক তারিকুলের কঠিন শাস্তি এবং আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে চাই’।
আছিয়া বেগম মোবাইল ফোনে বলেন, স্বামী মোন্তাজ উদ্দিন মাঝে-মধ্যেই আমাকে মারধর করতো। এ জন্য আমি তাকে ছেড়ে তারিকুলের সাথে তার গোয়ালন্দের বাসায় চলে এসেছি।
তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আছিয়া আমার কাছে চলে আসলে আমি তাকে বিয়ে করি’। আগের স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি না হওয়া সত্ত্বেও তাকে বিয়ে করার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টির মিমাংসা করার চেষ্টা করছি’।