Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

শারদীয় দুর্গোৎসব-২০১৯ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের শুভেচ্ছা বাণী

সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব-শারদীয় দুর্গাপূজা। সমাজে অন্যায়, অবিচার, অশুভ ও অসুর শক্তি দমনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আবহমানকাল ধরে এ দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীগণ বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা উপাচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছেন।
দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, একই সাথে সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী একত্রিত হন এবং অর্চনার পাশাপাশি সকলে আনন্দ-উৎসব উদযাপন করেন। দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবই নয়, এটি আজ সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে।
“ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” এ মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশের সকল ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্ম ও উৎসব পালন করেন। যার কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ। এখানে স্মরণাতীত কাল থেকে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষ একসঙ্গে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে।
দুর্গাপূজা আবহমান বাংলার শাশ্বত সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। দুর্গাপূজার সাথে মিশে আছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দুর্গাপূজা দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শারদীয় দুর্গোৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে বন্ধনকে আরো সুসংহত করুক এ কামনা করছি। সেই সাথে সুন্দর শরতের শুভক্ষণে নির্মলতায়, নির্ভাবনায় এবং উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজবাড়ীকে জানাচ্ছি শারদীয় শুভেচ্ছা।
বাঙালীর হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য ও বন্ধন অটুট রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার প্রত্যয়ে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এক সাথে কাজ করবো এই হোক আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়।

দিলসাদ বেগম
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী।