॥তনু সিকদার সবুজ॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়ন থেকে অপহৃত ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী (১৪)কে উদ্ধার এবং তাকে অপহরণের অভিযোগে আশীষ কর্মকার(১৯) নামের এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গত ১২ই সেপ্টেম্বর রাতে বালিয়াকান্দি থানার এস.আই বদিয়ার রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়া সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া সদরের বটতৈল গ্রাম থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার এবং আশীষ কর্মকারকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন।
গ্রেফতারকৃত আশীষ কর্মকার ওই গ্রামের(বটতৈল) নন্দ কর্মকারের ছেলে। গতকাল ১৩ই সেপ্টেম্বর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও উদ্ধারকৃত ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষাসহ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দী প্রদানের পর তাকে তার পিতার জিম্মায় দেয়া হয়।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম আজমল হুদা জানান, উদ্ধারকৃত ছাত্রীর বাড়ী জঙ্গল ইউনিয়নের নতুন ঘুরঘুরিয়া গ্রামে। সে একই ইউনিয়নের ধর্মতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ১৫/০৮/২০১৯ইং তারিখে তাকে জোরপূর্বক অপহরণের অভিযোগে তার পিতা বাদী হয়ে গত ২রা সেপ্টেম্বর রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা(মিস.পি-২০২০/১৯) দায়ের করে। মামলায় আশীষ কর্মকার ও তার বন্ধু পাংশা উপজেলার জোনা পাট্টা গ্রামের রতন মন্ডলের ছেলে স্বপন মন্ডলকে আসামী করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটিকে এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেয়। আদালতের আদেশ অনুযায়ী থানায় মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয় (বালিয়াকান্দি থানার মামলা নং-১০, তারিখ-১২/০৯/২০১৯ ইং)।
মামলার অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, ওই ছাত্রীর বাড়ীর পাশেই আশীষ কর্মকারের মামা বাড়ী। সেই সূত্রে আশীষ কর্মকার মামা বাড়ীতে বেড়াতে এসে ওই ছাত্রীকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। এ কাজে বন্ধু স্বপন মন্ডল তাকে সহায়তা করতো। ওই ছাত্রীর পরিবার বিষয়টি আশীষের মামাদের জানালে সে ক্ষুদ্ধ হয়। গত ১৫ই আগস্ট সকাল ৮টার দিকে ওই ছাত্রী স্কুলের গণিত শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ী হয়ে বের হয়ে স্কুলের সামনে পৌঁছানো মাত্র আশীষ কর্মকার ও স্বপন মন্ডল জোরপূর্বক তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।