Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

গোয়ালন্দে সরকারী খালের উপর অবৈধভাবে নির্মাণাধীন মার্কেট উচ্ছেদ করলো প্রশাসন

॥এম.এইচ আক্কাছ॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলা ছোট ভাকলা ইউনিয়নের স্বরুপারচক মাদাসার পার্শ্ববর্তী খালের উপর অবৈধভাবে নির্মাণাধীন একটি মার্কেট উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন।
গত ৬ই সেপ্টেম্বর বিকালে গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ্ আল মামুন এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোয়ালন্দ জমিদার ব্রীজের পশ্চিমে কবরস্থানের পাশ দিয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুরগামী সড়কের স্বরূপারচক মাদ্রাসা বাজারের পাশে একটি ভরাট খাল রয়েছে। একসময় খালটি প্রবাহমান ছিল। বর্তমানে খালটি প্রবাহমান না থাকায় স্থানীয়রা এর অধিকাংশ জায়গা দখল করে গড়ে একটি বাজার গড়ে তুলেছে। স্থানীয়দের বাড়ী-ঘরে যায়ায়াতের রাস্তাসহ গড়ে উঠেছে ছোট ছোট দোকান-পাট। খালের অধিকাংশ জায়গা দখল হয়ে গেলেও কিছুটা প্রবাহমান সদৃশ খাল এখনো প্রতীয়মান রয়েছে। এই খালের উপর রয়েছে মাদ্রাসা সংলগ্ন সড়কের উপর একটি ছোট কালভার্ট ব্রীজ। ব্রীজের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে স্থানীয় গোলজার মোল্লার ছেলে আব্দুল করিম মোল্লা কাঠ ও বাঁশ দিয়ে একটি মার্কেট নির্মাণের কাজ শুরু করে। এ অবস্থায় এক সপ্তাহ আগে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসন মার্কেটের নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে আব্দুল করিম মোল্লা মার্কেটের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। এর প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার বিকালে প্রশাসন সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণকারী আব্দুল করিম মোল্লা বলেন, তার পৈত্রিক জমির উপর দিয়ে সরকারী রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। তাই তিনি সরকারী জমিতে দোকান ঘর তুলছিলেন। শুধু সে একলা না, তার মতো অনেকেই এ ধরনের দোকান ঘর তুলে দীর্ঘদিন ধরে নির্বিঘেœ ব্যবসা করে আসছে।
খালের উপর দিয়ে বাড়ীতে যাতায়াতের রাস্তা নির্মাণ করা আবুল শেখ, রফিকুল ইসলাম, নজরুল শেখসহ কয়েকজন বলেন, খালটি অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও খালের কোন অস্তিত্বই নেই। খালের পানি প্রবাহের জন্য শুধু তাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে যাদের স্থাপনা আছে সকলের স্থাপনাই উচ্ছেদ করা হোক।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অন্তত ৩০ ফুট প্রশস্ত খালটি অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে। সকল দখলদারদের উচ্ছেদ করে ক্যানেলটি পুনঃ খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রস্তাব পাঠানো হবে।