॥রফিকুল ইসলাম॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন গতকাল ৫ই সেপ্টেম্বর বিকালে বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বক্তব্য রাখেন।
বানীবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী মোল্লার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডঃ গণেশ নারায়ণ চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডঃ মোঃ শফিকুল আজম মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক অসীম কুমার পাল, দপ্তর সম্পাদক শেখ গোলাম মোস্তফা বাচ্চু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডঃ উমা সেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডঃ সফিকুল হোসেন সফিক, সদস্য আব্দুস সালাম মন্ডল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী খান, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়াহিদুজ্জামান ওহিদ, দপ্তর সম্পাদক কাওছারুল ফেরদৌস, বানীবহ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তার মিয়া, রাজবাড়ী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর শেখ তিতু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুল সালেহীন অপু, রাজবাড়ী পৌর যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী মুক্তি রাণী কর, বানীবহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, এ দেশ যখন পাকিস্তানের অংশ ছিল তখন অনেক বৈষম্য ছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পর সেই বৈষম্য দূর হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটাকে পুনর্গঠন করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই সময় দেশের বাইরে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা কোনক্রমে বেঁচে যান। আজ সেই বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আবার এগিয়ে চলেছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির সময় বানীবহতে কোন উন্নয়ন হয়নি। আওয়ামী লীগের সময়ই সব উন্নয়ন হয়েছে। বিএনপির সময়ে সারের তীব্র সংকট ছিল। সারের দাবীতে আন্দোলন করায় কৃষকদের গুলি করে মারা হয়েছিল। যে নৌকা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, সেই নৌকা নিয়ে আমরা বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছি। বিএনপির সময় সেই নৌকাকে অপমান করা হয়েছে। যারা নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল তারা কখনোই আওয়ামী লীগের কর্মী হতে পারবে না। জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবন বাজী রেখে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বেই আমরা এগিয়ে যাবো।
সম্মেলনে বানীবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ যথাক্রমে ৪ ও ৩ জন করে মোট ৭জন প্রার্থী ছিলেন। প্রার্থীদের কেউই তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করায় এবং সমঝোতা না হওয়ায় পরবর্তীতে তারিখ-সময় ও স্থান নির্ধারণ পূর্বক ভোটাভুটির মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
