Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

চেরনোবিল পর্যটক ঃ জানার চেয়ে সেলফির আগ্রহ বেশী

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ দর্শকপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘চেরনোবিলের’ কারণে নতুন প্রজন্মের পর্যটকদের কাছে পরমাণু বিপর্যয়ে বিপন্ন চেরনোবিল এলাকা আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
তবে গাইডরা বলছেন, বেশীর ভাগ দর্শকই ওই দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানার চেয়ে সেলফি তুলতে আগ্রহী। খবর বাসস।
ইতিহাসের ভয়ংকর পরমাণু দুর্ঘটনায় পতিত ওই পরমাণু প্রকল্প এলাকার অফিসিয়াল গাইড ইয়েভগেন গোনচারেঙ্কো বলেন, ‘তারা চেরনোবিল দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে চায় না, তারা চায় সেলফি তুলতে।’
তিনি এএফপিকে বলেন, পর্যটকরা এইচবিও টিভি চ্যানেলের ‘চেরনোবিল’ সিরিজের ফিকশনাল সাইটগুলো দেখতে চায়।
১৯৮৬ সালের ২৬শে এপ্রিল সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিলে বর্তমান ইউক্রেনে পরমাণু চুল্লিতে বিষ্ফোরণ ঘটে। এতে গোটা এলাকায় পারমাণবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। পারমাণবিক বিকিরণ ইউরোপের বিশাল এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রকল্পের ৩০ কিলোমিটার এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। এইচবিও’র ‘চেরনোবিল’ সিরিজ এই ঘটনা নিয়ে তৈরি করা হয়। এরপর সেখানে দর্শক বাড়তে থাকে। এখানে একটি ছোট এলাকা দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া হয়।
চেরনোবিলের পরিত্যক্ত এলাকা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ‘ডার্ক ট্যুরিজম’ স্পটে পরিণত হয়েছে।
ইউক্রেনিয়ান ট্রাভেল এজেন্সিগুলো ‘চেরনোবিল সিরিজ’ এলাকায় আরো পর্যটক আকর্ষণে বিশেষ ট্রিপের অফার করছে। এমনকি দুর্ঘটনা এলাকার কাছে কায়াকিং নদীতে ভ্রমণ ও ফাস্টফুড জোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইউক্রেনিয়ান প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জিলেনেস্কি পর্যটক আকর্ষণে এলাকাটির আরো উন্নয়নে একটি আদেশেও (ডিক্রী) সাক্ষর করেছেন।
এখানে প্রতিবছর পর্যটক বাড়ছে। গত বছর ৭২ হাজার পর্যটক চেরনোবিল সাইটে এসেছে। ট্যুর অপারেটররা আশা করছে এ বছর এ সংখ্যা ১লাখ ছাড়িয়ে যাবে।