Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসার উপাধ্যক্ষ দিদারের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী থানায় মামলা রেকর্ড

॥শিহাবুর রহমান॥ কলেজ ছাত্রীকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে রাজবাড়ীর শ্রীপুর লজ্জাতুন্নেছা কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ(উপাধ্যক্ষ) দিদার উল্লাহ(৪৫) এর বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলা থানায় রেকর্ড হয়েছে।
গতকাল ৩রা সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ৫৫মিনিটে রাজবাড়ী থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। রাজবাড়ী থানার মামলা নং-২, ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৯(১)। এর আগে গত ২০শে আগস্ট ওই কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহারভূক্ত আসামী দিদার উল্লাহ বরগুণা জেলার বেতাগি উপজেলার গ্রেদলক্ষীপুর গ্রামের মৃত আঃ গনির ছেলে। তিনি দুই বছরের অধিককাল সময় ধরে রাজবাড়ীর শ্রীপুর লজ্জাতুন্নেছা কামিল মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ পদে থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ওই ছাত্রী রাজবাড়ী সরকারী কলেজে প্রাণি বিদ্যা বিভাগের ১ম বর্ষে পড়াশুনা করেন। তার বাবাও একই মাদরাসায় এবতেদায়ী সহকারী শিক্ষক পদে শিক্ষকতা করেন। যে কারণে সে মাঝে মধ্যে ওই মাদরাসায় যাতায়াত করতো। এছাড়াও ওই ছাত্রীর বড় বোনের বাড়ী শ্রীপুর ফিলিং স্টেশনের পাশে। মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিদার উল্যাহ একই এলাকায় ভাড়া থাকেন। মাদরাসা ও বোনের বাড়ীতে যাতায়াতকালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিদার উল্যা তার ওপর কু-দৃষ্টি দেয়। ঘটনার দুই মাস আগে সে ওই মাদরাসায় তার বাবার কাছে গেলে দিদার উল্যাহ তাকে কাছে ডেকে পড়াশুনার খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি তার মোবাইল নম্বর ও ফেসবুক আইডি জেনে নেয়। এরপর থেকে দিদার উল্যা তাকে ওই মাদরাসায় চাকুরীর প্রলোভন দেখাতো। গত ৭ই আগস্ট দুপুরে কলেজ থেকে ওই ছাত্রী তার বড় বোনের বাড়ীতে যায়। বোনের বাড়ীতে থাকা অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে দিদার উল্যাহ চাকুরীর ব্যাপারে কথা আছে বলে মোবাইলে ওই ছাত্রীকে তার বাসায় ডেকে নেয়। এরপর ওই ছাত্রী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ভাড়া বাসায় গেলে দিদার উল্যাহ ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে।
আদালতে বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট খোন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু।
রাজবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার জানান, ‘আদালতের আদেশ পাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা অধ্যক্ষ দিদার উল্লাহকে গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।’
উল্লেখ্য, ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর গত ১৪ই আগস্ট সকালে মাদরাসার গর্ভনিং বডির জরুরী সভায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিদার উল্যাহকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানসহ তার অনুপস্থিতিতে শিরিন আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।