॥হেলাল মাহমুদ॥ ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথ’-শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৬ সাল থেকে চালু হওয়া রাজবাড়ী জেলা কারাগারে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার ৫ গুণেরও বেশী বন্দী রয়েছে। এতে কারা কর্তৃপক্ষ হিমশিম খাচ্ছে এবং বন্দীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
রাজবাড়ী জেলা কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারটি ৯০ জন পুরুষ ও ১০ জন মহিলাসহ মোট ১০০ জন বন্দী ধারণ ক্ষমতার। সেখানে বর্তমানে ৪৯৪ জন পুরুষ ও ১৭ জন মহিলাসহ মোট ৫১১ জন বন্দী রয়েছে। পুরুষ বন্দীদের মধ্যে ৯২ জন ও মহিলা বন্দীদের মধ্যে ৪জন সাজাপ্রাপ্ত আসামী(কয়েদী) এবং অন্যান্যরা বিচারাধীন মামলার আসামী(হাজতী)। ১জন জেল সুপার(কারা তত্ত্বাবধায়ক), ১জন জেলার ও ২জন ডেপুটি জেলারসহ ৪জন কর্মকর্তা এবং ৫৫জন কারারক্ষী কারাগারের দায়িত্বে রয়েছে। তার মধ্যে ৩জন নারী কারারক্ষী। এছাড়া কারাগারে ২০ শয্যার মেডিকেল ওয়ার্ড(হাসপাতাল) রয়েছে। সেখানে স্থায়ী কোন চিকিৎসক নেই। একজন ডিপ্লোমা নার্স হাসপাতাল ও কারাবন্দীদের চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করছেন। রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) মাঝে-মধ্যে এসে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
কারাগারের জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা জানান, বন্দীর অতিরিক্ত চাপ থাকলেও তাদের জন্য টেলিভিশন, বৈদ্যুতিক ফ্যান ও বালিশ সুবিধার পাশাপাশি ক্যারাম বোর্ড, লুডু, দাবা, ভলিবল খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। বন্দীদের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ ও জনবল বাড়ানো হলে যে সমস্যা আছে তার সমাধান হবে।
রাজবাড়ী জেলা কারাগারে ধারণ ক্ষমতার ৫ গুণেরও বেশী বন্দী!
