Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজবাড়ীর শ্রীপুর মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিদারের বিরুদ্ধে মামলা

॥শিহাবুর রহমান॥ কলেজ ছাত্রীকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে রাজবাড়ীর শ্রীপুর লজ্জাতুন্নেছা কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিদার উল্যাহ(৪৫) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত ২০শে আগস্ট ওই কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন। গত ৭ই আগস্ট বিকেলে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইলে ডেকে নিয়ে নিজ ভাড়া বাসায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিদার উল্যাহ তাকে ধর্ষণ করে।
অভিযুক্ত দিদার উল্যাহ বরগুনা জেলার বেতাগি উপজেলার গ্রেদলক্ষীপুর গ্রামের মৃত আঃ গনির ছেলে। তিনি দুই বছরের অধিককাল সময় ধরে রাজবাড়ীর শ্রীপুর লজ্জাতুন্নেছা কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ওই ছাত্রী রাজবাড়ী সরকারী কলেজে প্রাণি বিদ্যা বিভাগের ১ম বর্ষে পড়াশুনা করেন। তার বাবাও একই মাদরাসায় এবতেদায়ী সহকারী শিক্ষক পদে শিক্ষকতা করেন। যে কারণে সে মাঝে মধ্যে ওই মাদরাসায় যাতায়াত করতো। এছাড়াও ওই ছাত্রীর বড় বোনের বাড়ী শ্রীপুর ফিলিং স্টেশনের পাশে। মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিদার উল্যাহ একই এলাকায় ভাড়া থাকেন। মাদরাসা ও বোনের বাড়ীতে যাতায়াতকালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিদার উল্যা তার ওপর কু-দৃষ্টি দেয়। ঘটনার দুই মাস আগে সে ওই মাদরাসায় তার বাবার কাছে গেলে দিদার উল্যাহ তাকে কাছে ডেকে পড়াশুনার খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি তার মোবাইল নম্বর ও ফেসবুক আইডি জেনে নেয়। এরপর থেকে দিদার উল্যা তাকে ওই মাদরাসায় চাকুরীর প্রলোভন দেখাতো। গত ৭ই আগস্ট দুপুরে কলেজ থেকে ওই ছাত্রী তার বড় বোনের বাড়ীতে যায়। বোনের বাড়ীতে থাকা অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে দিদার উল্যাহ চাকুরীর ব্যাপারে কথা আছে বলে মোবাইলে ওই ছাত্রীকে তার বাসায় ডেকে নেয়। এরপর ওই ছাত্রী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের ভাড়া বাসায় গেলে দিদার উল্যাহ ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুখ চেপে ধরে তাকে ধর্ষণ করে।
মামলার আইনজীবি অ্যাডভোকেট খোন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু জানান, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার জন্য রাজবাড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
রাজবাড়ীর শ্রীপুর লজ্জাতুন্নেছা কামিল মাদরাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শিরিন আক্তার জানান, ঈদের ছুটির পর আজ শনিবার প্রথম ক্লাস হচ্ছে। দিদার উল্যাহ ঈদের ছুটিতে যাওয়ার পর আর মাদরাসায় আসেননি। তবে তিনি ধর্ষণের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, ঘটনাটি জানার পর গত ১৪ই আগস্ট সকালে মাদরাসার গর্ভনিং বডির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঘটনার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিদার উল্যাহকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানসহ তার অনুপস্থিতিতে শিরিন আক্তারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে দিদার উল্যার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।