Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

গোয়ালন্দে চাঁদা না পেয়ে কারখানার দারোয়ানকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

॥এম.এইচ আক্কাছ॥ গোয়ালন্দের একটি এগ্রো ফুড কারখানার মালিকের কাছ থেকে ৩লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে কারখানায় হামলা চালিয়ে নৈশ প্রহরীকে তুলে নিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
গত ১১ই আগস্ট রাতে গোয়ালন্দ উপজেলার পশ্চিম উজানচর নবুওসিমদ্দিন পাড়ায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মন এগ্রো ফুড এন্ড বেভারেজ লিঃ কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কারখানার নৈশ প্রহরী হাকিম তালুকদার বাদী হয়ে ওই এলাকার হাসেম মন্ডল, রাজ্জাক শেখ, রফিক, মিজানুর রহমান, ওসমান শেখসহ কয়েকজনকে আসামী করে গত ১৮ই আগস্ট গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
মামলার অভিযোগে নৈশ প্রহরী হাকিম তালুকদার বলেন, তিনি মন এগ্রোফুড এন্ড বেভারেজ লিঃ-এ দারোয়ানের চাকরী করেন। গত ১১ই আগস্ট বিকালে দায়িত্বরত অবস্থায় হাসেম মন্ডল এসে তার মালিকের কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে দিতে বলে। কিসের টাকা জানতে চাইলে সে বলে এখানে কারখানা চালাতে হলে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তিনি বিষয়টি মোবাইল ফোনে কারখানার মালিক সৈয়দ শাজাহান হোসেন সুমনকে জানান। রাত পৌনে ১টার দিকে উল্লেখিত আসামীগণ কারখানার সামনে এসে তাকে ডাকতে থাকে। তিনি কারখানার গেট খুললে তারা তাকে বাইরে আসতে বলে। তিনি গেটের বাইরে যেতেই তারা তার মুখে কসটেপ লাগিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে পার্শ্ববর্তী নেজন মোল্লার কলাবাগানে নিয়ে মারপিট করে। একপর্যার তার হাত-পা নাইলনের রশি দিয়ে বেঁধে জবাই করতে উদ্যত হয়। এমন সময় কারখানার মালিক তাকে কারখানায় না পেয়ে লোকজন নিয়ে খুঁজতে থাকা অবস্থায় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দুষ্কৃতিকারীরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর তার মালিক তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে প্রায় এক সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে কারখানার মালিকের পরামর্শে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি শটগান উদ্ধার করা হয়, পুলিশ সেটি জব্দ করেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আঃ রাজ্জাক বলেন, সুমন জোর করে আমাদের জমি দখল করে তার উপর কারখানা গড়ে তুলেছে। এ নিয়ে আমরা কথা বলতে গেলে সে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
কারখানার মালিক সৈয়দ শাজাহান হোসেন সুমন বলেন, আমি ন্যায্য মূল্যে ওসমান শেখের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে কারখানা করেছি। তারপরও তারা আমার কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আমার কারখানায় হামলা করে দারোয়ানকে হত্যার চেষ্টা করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, বেআইনীভাবে কারখানায় অনধিকার প্রবেশ, অবরোধ করে চাঁদা দাবী ও খুন করার উদ্দেশ্যে মারপিট করে সাধারণ জখমের অপরাধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।