॥হেলাল মাহমুদ॥ সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ীর মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়তদাররাও এ বছর কোরবানীর পশুর চামড়া কিনে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অবস্থা এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর রাজবাড়ীর আড়তদাররা ২০০ থেকে ৫০০ টাকা করে গরুর চামড়া এবং ২০ থেকে ৫০ টাকা করে ছাগলের চামড়া কিনেছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হবে লবণ ও লেবারসহ প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাতের নানা খরচ। কয়েকদিন পর তারা চামড়াগুলো কুষ্টিয়ার ট্যানারীতে সরবরাহ করবেন। মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা উল্লেখিত দামের গড়ে ২০/৩০ শতাংশ করে কমে চামড়া সংগ্রহ করেন।
রমজান শেখ নামের একজন মৌসুমী চামড়ার ব্যবসায়ী বলেন, এ বছর ব্যবসা না থাকায় তিনি অল্প কিছু চামড়া কেনেন। কেনার পর পরিবহন খরচ দিয়ে আড়তে চামড়া বিক্রি করে যে দাম পেয়েছেন তাতে কোন লাভই হয়নি। অনেকের আবার লোকসানও হয়েছে।
আক্তার হোসেন নামের রাজবাড়ী বাজারের একজন আড়তদার বলেন, এ বছর দাম কম হওয়ায় বেশী লাভের আশায় গত বছরের তুলনায় বেশী পরিমাণে চামড়া কিনেছেন। কয়েকদিন পর চামড়াগুলো কুষ্টিয়ার ট্যানারীতে সরবরাহ করবেন। দাম পাওয়া যাবে ১বছর পর। কিন্তু এখনো ট্যানারীর কাছে গত বছরের পাওনা টাকা রয়েছে। চামড়ার বাজারের এমন ধস নামবে আগে বুঝতে পারিনি।
রাজবাড়ী শহরের একটি মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের সুপার মাওলানা ফজলুর রহমান বলেন, প্রতি বছর তারা কোরবানী দাতাদের কাছ থেকে যে চামড়া দান হিসেবে পান তা বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানের খরচের বড় একটা অংশ নির্বাহ করা হয়। কিন্তু এ বছর চামড়ার যে দাম পেয়েছেন তা অন্যান্য বছরের অর্ধেকেরও কম। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
চামড়া কিনে রাজবাড়ীর মৌসুমী ব্যবসায়ী-আড়তদাররা ক্ষতিগ্রস্ত
