Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

জাপানে বাংলাদেশের দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালিত

॥টোকিও প্রতিনিধি॥ জাপানের রাজধানী টোকিওস্থ বাংলাদেশের দূতাবাসে যথাযথ শ্রদ্ধা আর ভাবগাম্ভীর্যের সাথে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে গতকাল ১৫ই আগস্ট সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
এরপর দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাসহ আগত অতিথি, জাপান প্রবাসী এবং জাপান আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তার বক্তব্যে জাতির পিতার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙালী জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা-যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল।
তিনি যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন। দ্রুততম সময়ে জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় ও তাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়। তার দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন। রাষ্ট্রদূত জাপান প্রবাসী সবাইকে দেশের এই অগ্রযাত্রার সক্রিয় অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রবাসী নেতৃবৃন্দ জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন এবং এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আরো উদ্যম ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন।
আলোচকগণ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর করার জন্য সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং পলাতক খুনীদের দেশে এনে রায় বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান।
এছাড়াও বক্তাগণ একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচার কাজের দ্রুত নিষ্পত্তি ও রায় কার্যকরের দাবী জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতার সংগ্রামী জীবন-কর্ম নিয়ে ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সর্বশেষে আগত অতিথিদের দেশীয় খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।