॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের দুর্গম অঞ্চল বেতকা ও রাখালগাছি এলাকার গতকাল মঙ্গলবার ২০০ বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও ঔষুধ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত প্রত্যেক পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, লবন, চিনি, নুডুলসসহ ১০ প্রকার খাবার সামগ্রীর বস্তাভর্তি প্যাকেট দেওয়া হয়।
ইঞ্জিন চালিত ট্রলার করে সকালে রওয়ানা করে দুর্গম অঞ্চলে গিয়ে অসহায় বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু।
একই সঙ্গে বন্যার্ত চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইনসহ অন্যান্য ঔষুধ সামগ্রীও বিতরণ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাঈদ মন্ডলসহ প্রমূখ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে ওই এলাকার অসহায় বন্যা দুর্গত মানুষ হুমরি খেয়ে পড়ে। তাদের ভিড় সামাল দিতে গ্রাম পুলিশের সদস্যরা হিমশিম খায়।
এ সময় রাখাল গাছি গ্রামের রোকেয়া বেগম(৬৫) বলেন, স্বামী মানিক সরদার অনেক আগেই মারা গেছেন। পাঁচ ছেলে তারা প্রত্যেকে আলাদা থাকেন। আমি একা এলাকায় কাজ করে খাই। এই বন্যা গেল কোন মেম্বার, চেয়ারম্যান কেউ আসেনি। তাদের ভোটের দরকার ছিল তাই তারা একবার ভোট চাইতে এসেছিল। এই প্রথম আমরা কোন ত্রাণ সামগ্রী পেলাম।
উপস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ বলেন, বন্যা চলাকালিন সময় চারটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা সাধ্যমতো খোঁজ খবর নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। এমনকি আমি নিজেই আজ এই এলাকায় এসেছি। ছোট-খাটো সমস্যা ও অসুখের চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের মাধ্যমে তালিকা তৈরী করে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। আজকে(মঙ্গলবার) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত ২০০ জনের প্রত্যেককে বস্তাভর্তি ১০ প্রকার খাবারের প্যাকেট দিয়েছি। এতে করে সে অন্তত এক মাস চলতে পারবে। এছাড়াও ঈদের আগে ভিজিএফ চাল দেয়া হবে। প্রয়োজনে বন্যা কবলিতদের আরো ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে।
গোয়ালন্দের দেবগ্রামের দুর্গম অঞ্চলে ত্রাণ ও ঔষুধ বিতরণ
