॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং এটুআই প্রোগ্রামের সহযোগিতায় গতকাল ৩০শে জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা পর্যায়ের ইনোভেশন শোকেসিং ও কর্মশালা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচক হিসেবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, বিশেষ অতিথি হিসেবে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মাহফুজার রহমান সরকার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) আলমগীর হুছেইন বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জেলা প্রশাসনের আইসিটি শাখার সহকারী কমিশনার মোঃ আরিফুজ্জামান।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সালাহ উদ্দিন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মোঃ ফেরদৌস, রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোঃ কামরুল ইসলাম গোলদার ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নূরে সফুরা ফেরদৌসসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, বর্তমান সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরের উদ্ভাবনীমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মপন্থা তৈরী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ীতে বিভিন্ন বিভাগ কী কী নতুন নতুন উদ্ভাবনীমূলক বিষয়ের আলোকে তাদের কাজ সম্পাদন করছে সেগুলো সম্পর্কে অন্যদের অবহিত করার জন্য আজকের এই ইনোভেশন শোকেসিং কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়েছে। এমন এক সময় ছিল যখন সাধারণ মানুষ প্রশাসন বা কোন সরকারী বিভাগে তার কোন কাজ বাস্তবায়ন করতে গেলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সম্মুখীন হতো। যাতে করে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারী বিভাগ মানেই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কথাটির প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগের কারণে আজকে জনগণ ঘরে বসেই সেবা পাচ্ছে। আমরাও এই উদ্যোগের ফলে জনগণের মধ্যে প্রচলিত সরকারী বিভাগ মানেই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এই ধারণা থেকে অনেকটা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমাদের সকলের লক্ষ্য দেশের নাগরিকরা যাতে কোন সরকারী অফিসে না এসে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘরে বসে সকল সরকারী সেবা পায় তা নিয়ে কাজ করা। আর এভাবে কাজ করতে পারলেই দেশের নাগরিকদের প্রাপ্য সকল সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
এছাড়াও অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত আকারে ইনোভেশন শোকেসিং মেলায় জেলার বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের ৯টি স্টলের মাধ্যমে উদ্ভাবনীমূলক ১৪টি কার্যক্রম প্রদর্শিত হয়। সভাপতিসহ অন্যান্য অতিথিগণ স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। মেলার স্টলগুলোর পক্ষ থেকে কর্মশালায় প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তাদের উদ্ভাবনীমূলক কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। পরে মেলার স্টলগুলোর মধ্যে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
তাদের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ভাতা’র কার্ড সংরক্ষণ করা ও ভাতা প্রদানের পদ্ধতি সহজীকরণ করার জন্য কালুখালী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান ও তার কার্যালয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ইনোভেশন শোকেসিং-এ প্রথম স্থান অর্জন করে।
রাজবাড়ীতে ইনোভেশন শোকেসিং ও কর্মশালা
