Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

দৌলতদিয়ায় নিখোঁজের ৮দিন পর স্ত্রী’র লাশ উদ্ধার॥স্বামী ইমনের সন্ধান মেলেনি

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ পদ্মা নদীতে গোসল করতে গিয়ে স্রোতের তোড়ে ভেসে যাওয়া দম্পতির মধ্যে ৮দিন পর গতকাল ২৯শে জুলাই দুপুরে নিখোঁজ আঞ্জুমান আরার লাশ পাওয়া গেছে। তবে এখনো তার স্বামী নিখোঁজ ইমন হোসেনের সন্ধান মেলেনি।
আঞ্জু রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানখানাপুর রেলগেট এলাকার আজিম শেখের মেয়ে। আর নিখোঁজ ইমন মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলার তফিকচর গ্রামের মোশাররফ হোসেন এর ছেলে।
গত ১৯শে জুলাই তারা রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৩নম্বর ফেরী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় আঞ্জুর চাচা সাইদ শেখের বাড়িতে তাঁর বড় মেয়ে সাহিদার বিয়ের দাওয়াত খেতে আসে। দুই দিন পর গত ২১শে জুলাই দুপুরে বাড়ি সংলগ্ন পদ্মা নদীতে গোসল করতে গেলে ¯্রােতের তোড়ে ভেসে যায়।
দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ লাবু মিয়া জানান, বেলা সোয়া দুইটার দিকে স্থানীয় কয়েকজন ৬নম্বর ফেরী ঘাটের অদূরে ভাটির দিকে একটি অজ্ঞাত লাস ভাসতে দেখে খবর দেয়। খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সকে খবর দেই। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ফেরী ঘাটের পন্টুনের কাছে স্রোতের টানে ভেসে চলে আসে। পরে লাশটি নদীর পাড়ে তুললে হাত ও গলায় পড়া গহনা দেখে তিনি সাইদ শেখ তাঁর নিখোঁজ ভাতিজি আঞ্জুমান আরার লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন।
আঞ্জুর চাচা সাইদ শেখ বলেন, দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরী ঘাটের ভাটিতে বাহির চর ছাত্তার মেম্বার পাড়ার পাড়ায় বেলা দুইটার দিকে ¯্রােতের ঘুর্নিপাকে একটি লাশ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয় খাবার হোটেলের দোকানদার জানান। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখি একটি মহিলার লাশ ভাসছে।
খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল। তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দিলে তারা উদ্ধার করে। এ সময় গলার গহনা, কানের দুল ও পড়নের কাপড় দেখে আঞ্জুর লাশ হিসেবে শনাক্ত করি। তাৎক্ষনিকভাবে বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। আমরা এখন দৌলতদিয়া খানকাপাক মসজিদের পাশে কবরস্থানে লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, গতকাল সোমবার দুপুরে ফেরী ঘাটের অদূরে আঞ্জুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার দিন ও পরদিন বিভিন্ন পয়েন্টে খোঁজ নিয়েছিলাম। স্রোতের কারণে অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবস্থা না থাকায় উদ্ধার অভিযান ছেড়ে দিয়েছিলাম।