Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কঠোর নজরদারীতে রয়েছে॥গুজব রটনাকারীদের অনেককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-পুলিশ

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক দেশে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং বিরাজমান ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে পদ্মা সেতুতে শিশুদের মাথা লাগা, ছেলেধরা, মসজিদে আগুন দেয়া, কাবা শরীফ, শিব লিঙ্গ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে গুজব সৃষ্টির প্রেক্ষিতে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ সমন্বিতভাবে এসব গুজবের উৎপত্তি ও প্রচার রোধকল্পে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে তার প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ পরস্পরের সঙ্গে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও নজরদারী করছে এবং গুজব রটনাকারীদেরকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তারা গুজব রটনাকারীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্যে নিবিড় নজরদারী চালাচ্ছে এবং তাদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে অসামরিক প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাব। ইতিমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসমূহ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি তাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে। গণপিটুনী দিয়ে হত্যা এবং গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা ফৌজদারী অপরাধ বলে উল্লেখ করেছে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স।
এ বিষয়ে পুলিশের সারা দেশের বিভিন্ন ইউনিটকে গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন উৎসের মাধ্যমে শনাক্তকৃত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গুজব রটনাকারীকে গ্রেফতার করেছে। গুজব প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে কাজ শুরু করেছে আনসার ও ভিডিপি। এই বাহিনীর ৬১ লাখ সদস্য জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে সক্রিয় রয়েছে।
এ বিষয়ে বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, কুসংস্কার থাকলে গুজব ছড়ায়। পদ্মা সেতু নিয়ে গুজবে কান না দেয়ার জন্য গ্রাম, ইউনিয়ন পর্যায়ে আনসার বাহিনীর লিডারদের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। বাহিনীর সদস্যরা মাঠপর্যায়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গুজবকারীদের সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে তথ্য সংগ্রহ করছে বলেও জানা গেছে।
এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে যাতে কেউ গুজব সৃষ্টি ও ছড়াতে না পারে সে জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিপত্র জারী করে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সব স্তরের কর্মচারীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরিপত্রে অসাধু মহল কর্তৃক শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সর্বসাধারণকে গুজব ছড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখ করে গুজব রটনাকারীদের তাৎক্ষণিকভাবে চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে।