॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমীর নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভা গতকাল ২৭শে জুলাই সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় নবাগত জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি দিলসাদ বেগমকে কমিটির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং জেলা প্রশাসক নবগঠিত কমিটির সদস্যদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার পাল। এ সময় নবগঠিত কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে ‘বর্ষা মঙ্গল’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের প্রথমে পর্বের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি দিলসাদ বেগম।
জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহ্রাবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ আশেক হাসান, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার পাল ও কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতিম দাস বক্তব্য রাখেন। এ সময় এনডিসি মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তিফা চৌধুরী রন্টু, সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার পাল, কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতীম দাস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম মওলা, এম.দেলোয়ার হোসেন, কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান লাবু, মীর মাহফুজা খাতুন মলি, এডঃ শফিকুল আজম মামুন, অজয় দাস তালুকদার, শ্যামা রাণী দে ও সনাকের সভাপতি প্রফেসর শংকর সিনহাসহ আমন্ত্রিত এবং শিল্পকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি দিলসাদ বেগম বলেন, আমরা বাঙ্গালী ও বাংলাদেশীদের বছরের উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে আছে বর্ষাকাল। বর্ষাকালে যখন আকাশে মেঘের ঘনঘটা শুরু হয়ে অঝোরে বৃষ্টি পড়ে তখন মানুষের মধ্যে একটি অনুভূতি চলেই আসে। আর সেই অনুভূতি যখন সাংস্কৃতিক পর্যায়ে রূপধারণ করে তখন বর্ষাবরণের মতো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে এটাই স্বাভাবিক। পদাধিকারবলে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি হিসেবে আমি মনে করি একটি জেলার সাংস্কৃতিক চর্চার মূল কেন্দ্র হিসেবে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর গুরুত্ব অপরিসীম। এই শিল্পকলা একাডেমীর মাধ্যমে জেলার সাংস্কৃতিক চর্চাকে আরও বিকশিত করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়ন। সেই তুলনায় রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমীর তেমন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি। সভাপতি হিসেবে আমি যতদিন আছি ততদিন সবসময় আমার চেষ্টা থাকবে রাজবাড়ী জেলা শিল্পকলা একাডেমীর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা। এই উন্নয়নের মাধ্যমে জেলায় শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যত বেশী সাংস্কৃতিক মনা করে গড়ে তুলতে পারবো তত বেশী তাদেরকে মাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক অবক্ষয় থেকে দূরে রাখা সম্ভব হবে। একজন সাংস্কৃতিক মনা মানুষ সবসময় খারাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখে বলে আমি বিশ্বাস করি।
এছাড়াও অন্যান্য বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে রাজবাড়ী জেলার শিল্প ও সংস্কৃতির ইতিহাসসহ বর্তমান সময়ের সাংস্কৃতিক চর্চা ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। আলোচনা পর্বের শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীরা ‘বর্ষা মঙ্গল’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
শিল্পকলা একাডেমীর নতুন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত
